parbattanews

উখিয়ায় সংক্রমণ রেকর্ড গড়লেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে না কেউ

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনা শনাক্তের ৪৮৬তম দিনে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ শনাক্ত দেখেছে দেশ। এদিন উখিয়া উপজেলায়ও ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ জন করোনা রোগী। এদের মধ্যে ৩৭ জন বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং ২৩ জন বাংলাদেশি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত উপজেলা ভিত্তিক শনাক্তের সংখ্যায় কক্সবাজার জেলায় দ্বিতীয় স্থানে উখিয়া। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৩০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬৮১ জন স্থানীয় বাসিন্দা ও ১৬২৫ জন রোহিঙ্গা। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৭২৯ জন, মারা গেছেন ২৬ জন। মৃতদের মধ্যে ৭ জন স্থানীয় এবং ১৯ জন রোহিঙ্গা। এ হিসেবে শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১ শতাংশের নিচে।

উখিয়া উপজেলায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় ১টি সরকারি হাসপাতালের ৩০টি শয্যা ও রোহিঙ্গা শিবিরে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার ৯টি আইসোলেশন সেন্টারে ৩৯০টি শয্যা রয়েছে। বর্তমানে মোট শয্যার ৫৮ শতাংশে করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। জুন মাসে ৬৬ শতাংশ শয্যায় রোগী ছিল।

সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসন সর্বাত্মক তৎপর রয়েছে, এ ছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। এর পরেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই মুহূর্তে বিধিনিষেধ মেনে চলে জনসাধারণের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের বিকল্প নেই।

এদিকে উখিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা উভয় ধরনের জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি চিকিৎসার চাহিদা পূরণ হয়। এতে ২০২০ সালে উখিয়ার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিড-১৯ ইউনিটে ৫৮ জন করোনা রোগী চিকিৎসা পেলেও ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত কাউকেই ভর্তি হতে হয়নি।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রঞ্জন বড়ুয়া রাজন বলেন, ‘বিভিন্ন রোগ নিয়ে নিয়মিত ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী এখানে ভর্তি থাকেন। তাঁদের চিকিৎসার সুবিধা, সংক্রমণের ঝুঁকি ও জনবল সংকট বিবেচনায় আপাতত করোনা ইউনিটে রোগী নেই। এ ছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রয়োজন হলে অন্যান্য সেন্টারগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন।

ডাক্তার রাজন আরও বলেন, রোগী বৃদ্ধি পেলে জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত আছে স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রয়েছে উন্নয়ন সংস্থা প্রান্তিকের দেওয়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেমসহ প্রচলিত চিকিৎসার সব সুবিধা।’

তবে স্থানীয়দের দাবি, এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সেবার মান আরও উন্নত করা সহ আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ‘সময় থাকতে উখিয়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার ও আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।

Exit mobile version