parbattanews

উখিয়ায় সন্তান প্রসবের সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরই করোনায় হার মানলেন গৃহবধূ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালংয়ের করোনাক্রান্ত গৃহবধূ জারিন তাসনিম মুন্নী (২২) সন্তান জন্মদানের পর মারা গেছেন। পাঁচ দিন আগে তাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় সিজারে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মুন্নী। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখা হয়নি তাঁর। সন্তান প্রসবের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে যান তিনি।

মৃত জারিন তাসনিম মুন্নী উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের কেলাসাপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল লতিফের মেয়ে। এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী রত্নাপালং ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার আরেক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত হোসেন বিপুর সঙ্গে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়।

মুন্নীর পরিবারের লোকজন জানান, গত পাঁচ দিন আগে মুন্নীর করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের একদিনপরেই প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) হস্তান্তর করেন। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় নয় মাসের গর্ভবতী মুন্নীকে চিকিৎসকেরা আশি লিটারেরও বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, নবজাতক সুস্থ আছে। কিন্তু ওই গৃহবধূ সিভিয়ার কোভিডে আক্রান্ত ছিল। তাই চিকিৎসকদের চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাইনী বিশেষজ্ঞ খাইরুন্ননেছার তত্ত্বাবধানে মুন্নীর সিজার অপারেশন সফল হয়। অপারেশনের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়।

মুন্নীর চাচা শ্বশুর স্থানীয় সাংবাদিক ফারুক আহমেদ বলেন, মুন্নীর অস্ত্রোপচার সফল হয়, তাঁর একটি ছেলে হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করেও মুন্নীকে বাঁচাতে পারেনি।

Exit mobile version