parbattanews

উখিয়ায় সৌদি প্রবাসীর দিঘীতে মাছ ধরতে দিচ্ছে না দুর্বৃত্তরা

pic-ukhiya-07-12-2016-copy

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার পশ্চিম হলদিয়া ৬নং ওয়ার্ডের দিঘীর পাড়া এলাকায় সৌদি প্রবাসীর মালিকানাধীন পুকুরে মাছ চাষে বাঁধা প্রদানসহ বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কর্তন করেছে জবরদখলকারীরা। সন্ত্রাসী ও জবরদখলকারীর কবল হতে পুকুর ও জমি বে-দখলমুক্ত করার জন্য প্রবাসী হাজী ফরিদ আলম সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে দিঘীতে মাছ ধরার জন্য মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর, আব্দু ছত্তার ও ফরিদ আসলে প্রতিপক্ষ আব্দুস সালাম তার ভাই মনজুল আলম ও সাইফুল্লাহ ডাকাতসহ চিহিৃত সন্ত্রাসীরা হুমকি ধামকি ও মারধরের চেষ্টা চালায়। ভয়ে তারা মাছ না ধরে পালিয়ে আসে।

জানা যায়, উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঘাটি পাড়া গ্রামের মৃত বদিউর রহমানের পুত্র সৌদি প্রবাসী হাজী ফরিদ আলম ও হাজী ছৈয়দ আলম ২০১২ সালে পশ্চিম হলদিয়া হতে ২ একর ৩৪ শতক জমি ক্রয় করে। সেখানে রয়েছে একটি বিশাল দিঘী। যার বিএস ২১৩ নং খতিয়ানের বিএস দাগ নং- ৪৩৬, ৫৭০ দাগের আন্দর। ক্রয়ের পর থেকে দিঘীতে মাছ চাষসহ দিঘীর পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পালা রোপন করে ভোগদখল করে আসছে।

ভাতিজা আয়াছ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, দিঘীর মালিক জীবিকা নির্বাহ করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী জাগির হোছনের পুত্র আব্দুসালাম ও মনজুর আলমের নেতৃত্বে কতিপয় দুর্বৃত্তরা দিঘীটি জবরদখল করার জন্য নানা অপতৎপরতাসহ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় কাউকেও এখানে আসতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়।

এদিকে তাদের দাবী পূরণ না করায় গত ২৮ জুলাই ২০১৫ তারিখ রাতের আঁধারে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে পাহারাদারকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে দিঘী থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, দিঘীর পাড়ের অসংখ্য গাছ কর্তন করে তারা। এ ব্যাপারে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখ ৫ জনকে আসামী করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যার সিআর মামলা নং- ৩৬০/২০১৫ইং।

উখিয়া থানার পুলিশ এ মামলার ১নং আসামী আব্দু সালাম ও ৪নং আসামী নুরুল আলমকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও জামিনে এসে আসামীরা সৌদি প্রবাসী ফরিদ আলমের মালিকানাধীন দিঘীটি জবরদখল করার জন্য বকাবকির অভিযোগে উখিয়া থানায় ১০৭/১১৭(সি) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। যার ননএফআইআর নং- ৪৯ তারিখ- ৩০/০৮/২০১৬ ধারা ৪২৭ ও ৫০৬।

বর্তমানে তাদের বেপরোয়া ও মারমূখী আচরণ ও হুমকি-ধামকিতে সৌদি প্রবাসীরা তাদের সত্ত্বদখলীয় দিঘীতে মাছ চাষ বা মাছ ধরার জন্য যেতে পারছে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ফরিদ আলমের পরিবার।

Exit mobile version