parbattanews

উখিয়ায় ৭ দিন ধরে এক যুবক অপহরণ, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

এলাকাবাসী জানায়, সাহাব উদ্দিন ও তার ভাই আবুল কালাম ইয়াবার গড ফাদার।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) অনুসন্ধানে নিখোঁজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অপহরণকারীরা ফোন করে জানান, মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় সাহাব উদ্দিনকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ খরব শুনে সাহাবের মা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিক কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সাহাবের পিতা বয়োবৃদ্ধ আব্দুল হাকিম জানান, চট্টগ্রামে একটি স্টিল কারখানায় তার ছেলে সাহাব উদ্দিন চাকরি করে। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সোনার পাড়াস্থ বোনের বাড়িতে রাত যাপন করে সাহাব। পরের দিন বিকেলে সাহাব নিজ বাড়িতে আসে। কে বা কারা ফোন করে ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে আমার ছেলের মোবাইল ফোন থেকে সন্ত্রাসীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে টেকনাফের মোছনির শালবন পাহাড়ের ৭নং ঘাটে আসতে বলে। অন্যথায় তোমার ছেলেকে জীবিত পাওয়া যাবে না বলে হুমকি দেয়।

এদিকে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাহাব উদ্দিন চট্টগ্রামে একটি স্টিল কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করলেও বছর দুইয়ের মধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন হয়। জমি ক্রয় থেকে শুরু করে প্রাইভেট কার নিয়ে চলা ফেরা তার। এছাড়াও কয়েকটি গাড়ির মালিক এবং নিজ গ্রামে বহুতল ভবনের প্রসাদ নির্মাণ শুরু করে। অপর বড় ভাই আবুল কালাম কক্সবাজার শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি নিয়ে সপরিবার বসবাস করছে।

গ্রামবাসীর মতে, নুন আনতে পানতা ফুরায় এমন পরিবারে হঠাৎ আলাদিনের চেরাগের মত আবির ভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা কানাঘোষা চলে আসছিলো।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মূলত সাহাব উদ্দিন চট্টগ্রাম ভিত্তিক ও বড় ভাই আবুল কালাম কক্সবাজার ভিত্তিক ইয়াবা পাচারে জড়িত। তাদের নেতৃত্বে বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে। অপর দুই ভাই শাহ জাহান ও মনজুর উখিয়া ভিত্তিক ইয়াবা পাচারে জড়িত। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়াবা পাচার ও টাকা লেনদেনের ঘটনা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে অপহরণ করে তাকে টেকনাফের পাহাড়ে আত্মগোপণ করে রেখেছে।

অপহ্নত সাহাব উদ্দিনের পিতা আব্দুল হাকিম বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে ইয়াবার অভিযোগ সত্য নয়।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আইন শৃংখলা বাহিনী গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে টেকনাফের মুছনি শালবন পাহাড়ে সাহাব উদ্দিনকে উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।

Exit mobile version