parbattanews

উখিয়া বঙ্গমাতা কলেজ রোডে ময়লা-আর্বজনার স্তুপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

উখিয়া বঙ্গমাতা কলেজ রোডের পাশে ময়লা-আর্বজনার স্তুপ।

উখিয়ার বঙ্গমাতা মহিলা কলেজ রোড সড়কের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে বিপাল স্তুপে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিতে এসব ময়লা-আর্বজনা পঁচে-গলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে আকাশে-বাতাসে ছড়াচ্ছে বলে স্থানীয় পথচারী, কর্মজীবি, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র/ছাত্রীরা জানান। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি মানবদেহের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে মনে করেন সচেতন মহল। কিন্তু এ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই।

উখিয়ার জনবহুল এবং ব্যস্ততম একটি সড়ক হচ্ছে উখিয়ার ডাকবাংলো-মরিচ্যা পাতাবাড়ী সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে গত ২ বছরে এই সড়কের যানবাহন ও পথচারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এছাড়াও উখিয়ার পূর্বঞ্চলীয় জনপদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে এই বঙ্গমাতা সড়কটি। এই সড়কের সম্মূখে স্টেশনের পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে স্তুপ করা হচ্ছে ময়লা-আর্বজনা। দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানে অপরিচ্ছন্ন ময়লা-আর্বজনার স্তুপ করা হলেও দেখার বা বলার কেউ নেই।

উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষে পড়ুয়া ছাত্র শহিদুল ইসলাম বলেন, সে প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে কলেজে যাওয়া-আসা করে থাকেন। কিন্তু কলেজে যাওয়ার সময় সে ময়লা-আর্বজনার স্তুপে কাছাকাছি পৌঁছলে অস্বস্তিবোধ করে থাকে। কারণ এমন দুর্গন্ধ যাহা মানবদেহে ঢুকলে যে কেউ অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সে।

বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী শামীমা জাহান বলেন, সেও এই সড়ক দিয়ে কলেজে যাতায়াত করে থাকে। অন্য কোন যাতায়াত মাধ্যম না থাকায় এই সড়ক দিয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে৷ কারণ এ সব ময়লা-আর্বজনার দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে।

একই কথা স্থানীয় পথচারী ফরিদুল আলমের। সেও অভিযোগ করে জানান, দিনের পর দিন এই সড়কের পাশে বাজারের পঁচা মালামাল, ময়লা-আর্বজনার রাখা হলেও কোন জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করেনি। যার কারণে আকাশ-বাতাস দুষিত হচ্ছে দুর্গন্ধে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামার চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে দেখার জন্য বলেছি। দুর্গন্ধ যাতে না ছড়িয়ে যায় প্রয়োজনে স্প্রে করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এসব ময়লা-আর্বজনা গুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Exit mobile version