parbattanews

উজানটিয়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রামে জোয়ারভাটা অব্যাহত থাকায় দু হাজার বসতি পানিবন্দী

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৫দিন ধরে ১০ গ্রামে জোয়ারভাটা অব্যাহত থাকায় দু হাজার বসতি পানি বন্দী রয়েছে। সাগরের জোঁ কমে যাওয়ায় প্লাবিত গ্রামের অধিবাসীরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও দুদিন পর আবারো শুরু হবে সাগরে জোঁ।

জানা যায়, উজানটিয়ার ঠেকাপাড়ায় বঙ্গোপসাগরের বেড়িবাধ ভেঙ্গে গিয়ে ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া, টেকপাড়া, মালেকপাড়া, রুপালীবাজারপাড়া, কইড়াবাজার পাড়াসহ কমপক্ষে ১০ টি গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এদিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু প্লাবিত এলাকাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা করে ওই এলাকার বেড়িবাধ নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে সাহায্য প্রেরণের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘ ১০বছর ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাধ চরম ঝুকিতে থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে উপজেলার উজানটিয়া,মগনামা ও রাজাখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্রতি বছরই চরম বিপাকে পড়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে আসছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছুটা জরুরী বরাদ্দের মাধ্যমে লেপনি দেয়া ছাড়া স্থায়ী নিরাপত্তাদানে কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। মগনামার কাকপাড়াতে দুই চেইন ব্লক বসিয়ে ঠেকসই বেড়িবাধের কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তীতে একার্যক্রম আর আগানো হয়নি। যা ব্লক বসানো হয়েছে তাও সাগরের স্বাভাবিক জোয়ারের ঢেউয়ে গুড়িয়ে মিশিয়ে যায় যা এখন সাগরের স্বাভাবিক জোয়ারের পানি টপকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ পাউবোর অবহেলার কারনে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দ্রুত নির্মাণ না করার কারণে ব্যাপক আকারে ভেঙ্গে যায়। যা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা স্থানীয়দের থাকেনা। এরপরও স্থানীয়রা সাগরে বালির বাধ দিয়ে পানি আটকানোর নিরত্য প্রচেষ্ঠা করে যাচ্ছে। উপজেলার উজানটিয়ার ঠেকপাড়ার বেড়িবাধ ভাঙ্গার পেছনে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ সর্বসাধারণের স্বার্থ পরিপন্থি বেড়িবাধ কেটে মাছের চাষাবাদের জন্যে নাশি বসানোকে দায়ী করছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার ও প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় বেড়িবাধ কেটে নাসি বসানোর কারণে ঝরাজীর্ণ বেড়িবাধ সাগরের একটু বাড়তি জোয়ারে কচুরিফেনার মতো ভাসিয়ে গেছে। যা এখন পুরো উজানটিয়া বাসীর জন্যে দূ:খ হিসেবে আভিভ’ত হয়েছে। টানা ৫দিন জোয়ার ভাটা অব্যাহত থাকলেও সরকারী বেসরকারী তরফ থেকে এখনো বেড়িবাধ জোড়া দেয়ার জন্যে এখনো কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্ষা শুরুর পূর্বেই পাউবো ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পেকুয়ার তিন্ ইউনিযনের সাগরতীরবর্তী বেড়িবাধ নির্মাণের জন্যে অনুরোধ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত না করায় আজ সাগরতীরবর্তী লোকজন অন্যত্রে পালিয়ে বসতি স্থাপন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

Exit mobile version