parbattanews

উদ্ধার হওয়া দুই শিশু কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে

তানিয়া ও নিহা

অবশেষে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহ বাস স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া নির্যাতিত দুই শিশু বোনের আশ্রয় হল কক্সবাজার শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে। ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান ও এস আই কাজী আবুল বাশারের আন্তরিকতায় আশ্রয়হীন দু’বোনের ঠাঁই হলো এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে।

বুধবার বিকালে এ বোনদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকতাদের হাতে হস্তান্তর করেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলে জানান, এ দুই শিশু বোনের কোন অভিভাবক এগিয়ে না আসায় তাদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এ পুনর্বাসন কেন্দ্রে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করি তারা সরকারি এ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে পড়া লেখার মাধ্যমে নিজেদের অনিশ্চিত জীবনকে আলোকিত জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করবেন ।

উদ্ধারের পর পুলিশ তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দিতে গণমাধ্যম কর্মী ও সামাজিক গণমাধ্যমের আশ্রয় নেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন অভিভাবক যোগাযোগ না করায় পুলিশ এই উদ্যোগ নেন। পুলিশের এ আন্তরিক উদ্যোগের সংবাদ স্থানীয় জনসাধারণ জানতে পেরে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের ব্যস্ততম ঈদগাঁও বাসষ্টেশন থেকে কান্নারত অবস্থায় শিশু দুই কন্যাকে উদ্ধার করে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। এ সময় ১৪ ও ১২ বছর বয়সী শিশু দুটি নিজেদের তানিয়া ও নিহা নামের দুই বোন বলে পরিচয় দেয়। তারা নিজেদের চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা গ্রামের হাশেম ও রশিদ আর সন্তান বলে পরিচয় দেয়। তাদের বাবা কয়েক বছর পূর্বে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। মা পরে নতুন স্বামী নিয়ে তাদের ছেড়ে ওই স্বামীর ঘরে চলে যায়। সেই থেকে তাদের দেখা শুনার মত কেউ নেই।

পরে এক আত্মীয় দুই বোনকে ঈদগাঁহ’র রিনা আক্তার স্বামী সলিম নামের এক ভাড়াটিয়ার বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে দুই বোনকে দিয়ে যান। এরপর থেকে গৃহকর্ত্রী দুই বোনকে প্রায় সময় নির্যাতন করতো। উদ্ধার হওয়ার দিনেও নির্যাতন সইতে না পেরে দুই বোন পালিয়ে বাস স্টেশনে পৌঁছাই। তবে ওই ভাড়াটিয়ার বাসা কোন স্থানে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। পরে উদ্ধারকারীরা কান্নারত দু’বোনকে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করেন।

Exit mobile version