উন্নয়নের মহাযজ্ঞের পরও পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্রের শেষ নেই

নিউজ ডেস্ক:

পাহাড় নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র কেবলি ঘনীভূত হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের আগে প্রায় দু’দশক ধরে চলেছে রক্তের হোলি খেলা। শান্তি চুক্তির পর সরকার চুক্তির ধারাসমূহ একে একে বাস্তবায়ন করে চললেও পাহাড়ে অশান্তির যে বীজ বপন হয়েছে তার অবসান ঘটছে না।

চুক্তি অনুযায়ী, পাহাড় থেকে ২শ’ ৪০টি সেনা ক্যাম্প ও একটি ব্রিগেড প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বহু আগে। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগে দুর্বৃত্তরা সহিংস বড় বড় ঘটনার যেমন জন্ম দিয়ে যাচ্ছে, তেমনি চাঁদাবাজিতে সবুজের পাহাড়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।

দেশের এক-দশমাংশ ভূমি নিয়ে গোটা পার্বত্যাঞ্চলের অবস্থান। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত এ পার্বত্যাঞ্চলে রয়েছে ১১ নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এই নৃগোষ্ঠীর সাধারণ সদস্যরা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আস্থা নিয়ে বসবাস করে আসছে।

সরকার পাহাড়ের উন্নয়নে সমতল ভূমির মতোই বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। উপরন্তু কোন কোন অংশে তা সমতল ভূমির চেয়ে বেশি বলে চিহ্নিত। অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর এই পাহাড়ের উপজাতীয় সদস্যদের অগ্রসর শ্রেণীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালানোর প্রয়াসে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার উন্নয়ন কর্মের যে মহাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী সরকারের বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে চলেছে। যে পাহাড়ে অতীতে কখনও বিশ্ববিদ্যালয় বা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তাও করা যায়নি বর্তমানে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ এগিয়ে চলেছে। পাহাড়ে পাহাড়ী-বাঙালী নির্বিশেষে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল ভোগ করে চলেছে। ক্ষেত্রবিশেষে পাহাড়ীদের দেয়া হচ্ছে বিশেষ অগ্রাধিকার। পাহাড়ের উন্নয়নে রয়েছে জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ করা যেতে পারে, শান্তি চুক্তির আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। এই সমিতির সামরিক উইংয়ের নাম ছিল শান্তি বাহিনী। শান্তি চুক্তির পর পর এই শান্তি বাহিনী লুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু শান্তি বাহিনীর সদস্যদের হাতে যেসব স্বয়ংক্রিয়সহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল তার একটি বড় অংশ আত্মসমর্পণের সময় জমা দেয়া হয়নি বলে গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে।

১৯৯৮ সালে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে শান্তি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন শান্তি চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে জেএসএস নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সেকেন্ড ইন কমান্ডখ্যাত প্রসিত খিসার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বেরিয়ে যায়। প্রসিত খিসার অনুসারীদের পক্ষে ওইদিন কিছু পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর সদস্যদের খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে কালো পতাকা প্রদর্শনের ঘটনাও রয়েছে।

এরপর জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ভেঙ্গে ওই গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিড ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামে আঞ্চলিক আরেকটি রাজনৈতিক দল। বর্তমান সময়ে জনসংহতি সমিতি যেমন ভেঙ্গে দুই অংশে বিভক্ত তেমনি ইউপিডিএফও দুটুকরো হয়ে আছে। পাহাড়ে মূলত এই দুই আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, একের পর এক যে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে চলেছে তাতে কোন মহলের সন্দেহ নেই। এরা কখনও বাঙালীদের ওপর হামলে পড়ছে। আবার কখনও ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষেও লিপ্ত হচ্ছে। কখনও কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও সশস্ত্র আক্রমণে লিপ্ত হওয়ার দু:সাহস প্রদর্শন করছে, যা কখনও কাম্য হতে পারে না বলে পাহাড়জুড়ে জল্পনা-কল্পনার ডাল বিস্তৃত হয়ে আছে।

ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর থেকে জেএসএস ও ইউপিডিএফের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পক্ষে কখনও বাংলাদেশের জাতীয় কোন দিবস উদযাপনে সংশ্লিষ্ট হতে দেখা তো যাচ্ছে না, বরঞ্চ একবার এদের পক্ষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়ারও দু:সাহস প্রদর্শন করা হয়েছে।

এছাড়া এ সংগঠনের কিছু নেতা নেপথ্যে থেকে পাহাড় নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্য থেকে নিজেদের জুম্ম জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এরা পাহাড় নিয়ে আলাদা মানচিত্র, পতাকা, নির্দিষ্ট পরিচিতির মুদ্রা এমনকি কথিত জাতীয় সঙ্গীতও তাদের নিজস্ব একাধিক ওয়েবসাইটে প্রচার করে চলেছে। এছাড়া পাহাড়ের নাম দাবি করা হচ্ছে জুম্মল্যান্ড। গঠন করা হয়েছে জুম্ম মুক্তি বাহিনী।

এরা ১০ নভেম্বরকে পাহাড়ী জাতির শোক দিবস হিসাবে প্রকাশ্যে পালন করে থাকে। তাদের দাবি অনুযায়ী, এ দিনে পাহাড়ী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমা) নিহত হন। তিনি কোথায় নিহত হয়েছেন তা এখনও তারা স্পষ্ট করতে ব্যর্থ হয়ে আছেন। আবার তারা এমএন লারমার হত্যাকান্ড নিয়ে কোন বিচারও দাবি করেননি, এখনও করেন না। এসব নিয়ে সন্তু লারমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে দফায় দফায়। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর গণমাধ্যম কর্মীদের দেয়া হয় না। তবে টিএন্ডটির পক্ষে তার অফিস ও বাসায় প্রদত্ত দুটি নম্বর রয়েছে। বাসা (৬৩২৮৪), অফিস (৬৩১২৯) নম্বরে যোগাযোগ করা গেলেও অফিস সহকারীরা সন্তু লারমার কথা বলার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অপারগতায় জানান দিয়ে থাকেন।

ফলে পাহাড়ে এ জাতীয় অনাকাক্সিক্ষত কর্মকান্ড নিয়ে তার কোন বক্তব্য মিলে না। তবে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফের প্রচার শাখার পক্ষে প্রচার মাধ্যমে একটি বক্তব্য দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে পাহাড় জুড়ে বর্তমানে পুরো জনগোষ্ঠীর অর্ধেক এখন বাঙালী। শান্তি চুক্তির পর বাঙালীদের পক্ষেও নানা দাবি দাওয়া রয়েছে সরকারের প্রতি।

অনুরূপভাবে শান্তি চুক্তি পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে জনসংহতি সমিতি সদা তৎপর। কিন্তু তাদের সংগঠনের ব্যানারে থেকে অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী পাহাড়ে নিরস্ত্র বাঙালী ও নিজ জাতীয় সদস্যদের ওপর হীনস্বার্থ চরিতার্থে সশস্ত্র কায়দায় প্রতিনিয়ত হামলে পড়ছে। সর্বশেষ বাঘাইছড়ির নির্মম হত্যাকান্ডটি এর সুনির্দিষ্ট উদাহরণ। এসব নানা ঘটনা নিয়ে অবতারণা হয়েছে নানা জিজ্ঞাসার।

এদিকে গত প্রায় দুই দশক ধরে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সরকার স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাবাহী দামী গাড়ি দিয়ে তাকে যাতায়াতের সুযোগও দিয়ে রেখেছে। এছাড়া আর্থিকসহ রাষ্ট্রীয় অন্য সকল সুযোগ-সুবিধাও তিনি ভোগ করে চলেছেন। সঙ্গে থাকে পুলিশী নিরাপত্তা।

অথচ, তিনি এদেশের জাতীয় কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। দেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, জাতীয় শোক দিবসসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাকি আরও যে কয়টি দিবস পালন হয়ে থাকে এর কোনটিতে তাকে অতীতে কোনদিন দেখা যায়নি। বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে দেখা যাবে কিনা- তা সময়ই বলে দেবে। এবারের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের কোন অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিতি ছিল না। স্বাধীন সার্বভৌম এদেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কেন তিনি এহেন মনোভাব প্রদর্শন করে চলেছেন এ নিয়ে জনমনে কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু এর কোন উত্তর মিলে না। কেননা এসব নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন না। তবে আঞ্চলিক পরিষদের ব্যানারে রাঙ্গামাটিতে স্বাধীনতা দিবসের কিছু কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। যেখানে শীর্ষসহ নেতৃস্থানীয়দের কারও উপস্থিতি থাকে না। এবারও ছিল না। অপরদিকে ইউপিডিএফ শুরু থেকেই শান্তি চুক্তির বিরোধিতায় থেকে এদেশের জাতীয় কোন দিবস পালন করতে দেখা যায়নি।

বিভিন্ন সূত্র মতে, ইউপিডিএফ যেহেতু শান্তিচুক্তি বিরোধী সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে জাতীয় কোন দিবসে অংশগ্রহণ করা হয় না। তবে জেএসএস সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সম্পাদন করার পরও দলটির শীর্ষ নেতাদের এ জাতীয় কর্মকান্ড ও মনোভাব নিয়ে গোটা পার্বত্যাঞ্চল জুড়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চাউর হয়ে আছে। এদেশের একটি মানচিত্র আছে। আছে একটি পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, নির্দিষ্ট পরিচয়ের মুদ্রা। আছে বিশাল সমুদ্রসীমাও। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দিবস নিয়ে পুরো জাতি কখনও হয় উল্লাসে মাতোয়ারা, আবার কখনও থাকে শোকাস্তব্ধ পরিবেশে। এসব নিয়েই বর্তমান সময়ে উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হওয়া বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে।

প্রশ্ন উঠেছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির ব্যানারে সন্তু লারমা পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর নেতা দাবি করে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টায় লিপ্ত থেকে মূলত তিনি পাহাড়ের সকল নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেন কিনা? তবে এটা নিশ্চিতভাবে আলোচনায় বেরিয়ে এসেছে সেটা মোটেও ঠিক নয়। এরপরও অনির্বাচিত এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত হয়ে তিনি ১৯৯৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন। মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু এই পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে এখন তা প্রায় দুই দশক ছুঁতে চলেছে, কিন্তু তার এ পদে কোন নির্বাচন নেই, নতুন কারও মনোনয়নও নেই। অথচ পাহাড়ে এই পরিষদের সর্বোচ্চ এ পদটি আঞ্চলিক পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন রদবদল বা নির্বাচন না থাকার কারণে এই পদে থেকে জেএসএস নেতা সন্তু লারমা এদেশ এবং এদেশের জাতীয় দিবসগুলোর প্রতি যে অনীহা প্রদর্শন করে চলেছেন তার বিপরীতে জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উৎসুক মহল মনে করে।

বর্তমান সময়ে সন্তু লারমা ও তার দল যখন পাহাড়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে বলে দাবি রয়েছে, তখন তারা এদেশ এবং সরকারের প্রতি আস্থাশীল কিনা তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহের নানা প্রশ্ন। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হাতে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৩০ হাজারেরও বেশি সাধারণ নিরীহ পাহাড়ী-বাঙালী প্রাণ হারিয়েছে বলে বেসরকারি পরিসংখ্যান রয়েছে। এরা শান্তি চুক্তির মূল চেতনাকেই বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে।

অপরদিকে সেই ব্রিটিশ আমলে সৃষ্টি করা পাহাড়ে তিনটি সার্কেল রয়েছে, রয়েছেন তিন সার্কেল চিফ। এসব সার্কেল চিফদের কারও কারও তৎপরতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। পাহাড়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদের সকলের এগিয়ে আসা যখন যৌক্তিক, সেক্ষেত্রে তা মোটেও দৃশ্যমান নয়। সঙ্গত কারণে এদের কারও কারও আন্তরিকতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। সরকার যেখানে পাহাড়ের সামগ্রিক সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে পাহাড়ী নেতা, আঞ্চলিক দলসহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, সার্কেল চিফসহ সকলের একযোগে সরকারকে সহযোগিতা দানে এগিয়ে আসা সময়ের দাবি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নচেৎ পাহাড়ী আঞ্চলিক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থেকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা যে রক্তের হোলি খেলায় মেতে আছে তাতে সবুজের পাহাড় কেবলই রক্তাক্ত হতে যে থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। পাশাপাশি যারা স্বায়ত্তশাসনের দাবির ব্যানারে থেকে নানা অপকর্ম ও স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের আইন-কানুনের বিরোধিতা করার মতো অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তার ফলাফল কখনও ভাল হতে পারে না বলেই পাহাড় ভাসছে আলোচনায় ও নানা জল্পনা-কল্পনায়। বিভিন্ন মহলের মতে, আঞ্চলিক পর্যায়ে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিণাম অতীতে কখনও ইতিবাচক ফলাফল যে বয়ে আনেনি তা পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে আছে। সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উন্নয়নের মহাযজ্ঞের পরও পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্রের শেষ নেই
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন