parbattanews

উপজাতি ও বাঙালিদের সমঅধিকার নিশ্চিত করুন

l

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাঘাইছড়ি ট্র্যাজেডী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে খুনী রাষ্ট্রদ্রোহী শান্তিবাহিনী এবং তাদের নেতা সন্তু লারমার বিচার দাবী করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন এ কর্মসূচী পালন করে ।

এতে সভাপতিত্ব করেন সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব এবং রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার (এফএফ ২ নং সেক্টর) মনিরুজ্জামান মনির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট, শাহিদুর রহমান তামান্না, বিডিপি নেতা সরদার সাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক শামিমুল আহসান, সমঅধিকার নারী নেত্রী মিসেস রোজিনা বেগম, রওশন আরা সুরমা, সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলনের নেতা ফেরদৌস মানিক ও যুব আন্দোলনের নেতা মির্জা তছলিম।

এ কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা জানান বিএনপি নেতা স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাছের মোঃ রহমত উল্লাহ, দৈনিক রাঙামাটির প্রকাশক মুদ্রাকর জননেতা জাহাঙ্গীর কামাল এবং ডেমোক্রেটিকলীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি।

ঢাকার মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ, কালো পতাকা প্রদর্শন ও মৌন মিছিলের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাঘাইছড়ি থানার গহীন জঙ্গল পাকুয়াখালিতে শহীদ শতাধিক বীর বাঙালি কাঠুরিয়াদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। লংগদু থানার শহীদ বাঙালি পরিবারগুলোকে যথাযথ পুনর্বাসন করার জন্য তারা জোর দাবী জানান।

সভাপতির ভাষনে মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির সম্প্রতি বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সফল এম্বুসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক পোষাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারকে স্বাগত জানান।

শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র জমা দেয় নাই এবং আন্তরিকভাবে আত্মসমার্পন করেন নাই। এই বিষয়টি এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের দূর্গম এলাকাগুলোতে কম্বিং অপারেশন চালিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের আটকের মাধ্যমে স্থানীয় বাঙালি এবং উপজাতিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি জোর দাবী জানান।

সমাবেশে সমঅধিকার আন্দোলনের ৯ দফা দাবীনামা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

Exit mobile version