উপজাতি কোটার নামে রাষ্ট্র প্রদত্ত সুবিধাগুলো কারা ভোগ করছে?


সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ বলেছেন, ‘বলা হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বৈষম্যের শিকার। আমিও বলি তারা বৈষম্যের শিকার। কিন্তু কারা বৈষম্যের শিকার? উপজাতি কোটার নামে রাষ্ট্র প্রদত্ত সুবিধাগুলো কারা ভোগ করছে?’
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আছে। প্রতিবছর সেখানে ১২শ’ কোটি টাকার বাজেট আছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় দেশের ৬৪টি জেলায় যেভাবে বরাদ্দ দেয়, সেখানে আলাদা করে পার্বত্য জেলাগুলোতেও বরাদ্দ দেয়া হয়। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও সেখানে আইএনজিও আছে, লোকাল এনজিও আছে, ডোনার এজেন্সিজ আছে, আর্মি আছে। তারপরেও এতবছর পরেও পাহাড়ে উন্নয়ন কেনো হয় না? যারা উন্নয়নের কথা বলেন, উন্নয়ন বরাদ্দ মূলত তারাই চুষে নেন। দুর্গম পাহাড়ের মানুষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের উন্নয়ন বরাদ্দ পৌঁছে না। আমরা দেখেছি, যারা বৈষম্যের কথা বলেন তারা আসলে বৈষম্যের শিকার নন। তারা সুবিধাভোগী। আর তা না হলে খেয়াং সম্প্রদায়ের একজন লোক স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসে কেনো বলবেন যে, তিনি তার সম্প্রদায় থেকে মাত্র গ্রাজুয়েশন করলেন। পানছড়ির সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একজন শিশু কেবল প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হলো। তাহলে উপজাতি কোটার নামে রাষ্ট্র প্রদত্ত সুবিধাগুলো কারা ভোগ করছে?’

উৎস : রাওয়া আয়োজিত ‘সমস্যা সংকুল পার্বত্য চট্টগ্রাম : শান্তির অন্বেষণ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ২০২৫
















