parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও উপজাতীয় মেয়েদের আনতেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া

সদ্য বহিষ্কুত যুব মহিলা লীগের নেত্রী পাপিয়া

অবৈধ জগতের নেত্রী বলে খ্যাত, যুব মহিলা লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত শামীমা নূর পাপিয়া টাকার জোড়ে কেবল অবৈধ কাজ নই বরং রাজনীতি জগতের পদও বাগিয়ে নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্যও প্রায় ১০ কোটি টাকা বাজেট রেখেছিলেন যুব মহীলা লীগের এই নেত্রী।

এছাড়াও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সূত্র। বিভিন্নজনের কাছে ‘নারী সরবরাহকারী’ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন পাপিয়া।যার সহযোগী ছিলেন তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান, সাব্বির এবং তায়্যিবাহ।

তদন্তকারী সূত্র মতে জানা যায়, পাপিয়া ও সুমন চৌধুরীর অপরাধ জগত সম্পর্কে তায়্যিবা ডিবিকে জানিয়েছেন, অনেক সময় চাহিদামতো থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ভুটান ও রাশিয়া থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো। পার্বত্য অঞ্চল থেকেও উপজাতীয় মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া। তাদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করতেন এই অপরাধ জগতের নারী পাপিয়া।

সূত্র জানায়, ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী সুমন চৌধুরী অনেক তথ্য দিচ্ছেন। তাদের কখনো আলাদাভাবে, কখনো দুজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তাঁদের দুই সহযোগী সাব্বির ও তায়্যিবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

পাপিয়ার অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলার মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, ‘পাপিয়ার পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁরাও নজরদারিতে রয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু পাপিয়া নয়, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের সঙ্গে যাঁরাই জড়িত, তাঁরা নজরদারিতে আছেন। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেতা শামিমা নূর পাপিয়ার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দল বিব্রত। শুধু পাপিয়া নয়, দুষ্কৃতকারীদের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

Exit mobile version