parbattanews

উপবনে পর্যটনে রেস্টুরেন্ট ও টাওয়ারসহ দৃষ্টিনন্দন একগুচ্ছ প্রক্রিয়া

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটেই পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থান দৃষ্টিনন্দন উপবন পর্যটন লেক। ১৯৯৬সনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্দ্যোগে উপজেলা সদরে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য পাহাড়ের বুকে বাঁধ দিয়ে এই কৃত্রিম হ্রদটি গড়ে তোলা হয়। যা ১৯৯৬ সালে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে ওঠে।

প্রতিষ্ঠালগ্নে এই পর্যটন স্পটের নাম শৈলশোভা পর্যটন নামকরণ করা হয়। স্থানীয়রা তখন এই লেককে ইউএনওর লেক হিসেবে চিনত। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনে বিভিন্ন সময়ে পর্যটনবান্ধব কর্মকর্তার যোগদানের সূত্র ধরে এবং বান্দরবানের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর বাহাদুরের প্রচেষ্টায় শৈলশোভা লেকটি ‘উপবন পর্যটন’হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

যখন বর্তমান প্রজম্মের তরুনরা সাগর কেন্দ্রিক ভ্রমনে সন্তুষ্ট নয়। ঠিক তখনই সীমান্তের দূর্গম পাহাড়ে বুনো সৌন্দর্য্য রোমাঞ্চ পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে হাজারো পর্যটক। এরপর থেকে ধীরে ধীরে উপবন পর্যটন সারাদেশে পরিচিতি লাভ করে।

উপবন লেকের ঝুলন্ত সেতু কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা এই পর্যটন লেকে দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখের মধ্যে অনেকেই শুটিং স্পট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দূরন্ত সাইকেলের বিজ্ঞাপনের বেশকিছু অংশ এই লেকে তৈরি হয়েছে তারকা ক্রিকেটার তাসকিনের অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এভাবে পর্যটক আর মিডিয়ার প্রচারের কারণে উপবন পর্যটন লেকটির সৌন্দর্য্য’র চিত্র নানাস্থানে ছড়িয়ে পড়ে।

বর্তমানে এই লেকটিকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসন নানান উদ্যোগ নিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম এই লেকে তিনটি প্যাডেল বোট সংযুক্তকরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য উপবন পর্যটন উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের অনেক আগ্রহ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনটি প্যাডেল বোট সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ঝুলন্ত সেতুর সংষ্কার কাজ চলছে। এই ধারাবাহিকতায় আলোকায়নের জন্য তিনটি ল্যাম্প পোস্ট, প্রবেশ পথে গোলঘর (টাওয়ার) নির্মাণ, পিচঢালা সড়ক ও রেস্টুরেন্ট স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

Exit mobile version