parbattanews

প্রধানমন্ত্রী’র‘উপহার’সুখের নীড়ে’ পেয়েছেন মানিকছড়ি’র ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৫পরিবার

মুজিব জন্মশতবর্ষে দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ কর্মসূচিতে ঠাঁই হয়েছে মানিকছড়ি উপজেলার ৫৫পরিবার। আধুনিক ডিজাইনে দু’কক্ষ বিশিষ্ট ঘরে বারান্দা, পাকের ঘর ও টয়লেট রয়েছে। পর আশ্রয়ে দিনাতিপাত করা এসব পরিবার আজ প্রধানমন্ত্রীর ‘সুখেরনীড়’ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।

উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মাথা গুজার ঠাঁই দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে ‘আশ্রয়-২ প্রকল্প’ ও ‘দূর্যোগ ও ত্রাণ’ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর স্থানীয় প্রশাসেন উদ্যোগে তৃণমূলে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আধুনিক ডিজাইনে দু’কক্ষ বিশিষ্ট ঘরে বারান্দা, পাকের ঘর ও টয়লেট সুবিধা সম্পন্ন প্রতিটি ঘরে সরকারের ব্যয় হয়েছে এক লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা।

উপজেলার চার ইউনিয়নে মোট ১শত ৮৮ পরিবার এই কর্মসূচির সুবিধায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপি ৬৬ হাজার ১শত ৮৯টি পরিবারে একযোগে ভার্চুয়ালি কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর উদ্বোধন কার্যক্রম সরাসরি উপভোগ করার সুবিধার্থে উপজেলা প্রশাসন টাউন হলে উপকারভোগী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আেয়াজন করেন অনুষ্ঠানে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ।

প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মাঈন উদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডলি চৌধুরাণী,সহকারী কমিশনার(ভূমি) রিফাত আসমা, অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সফিউল আলম চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক, ক্যয়জরী মহাজন, মোঃ আবুল কালঅম আজাদ, আইসিটি কর্মকর্তা মোঃ শাকির আহম্মদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান প্রমূখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ‘উপহার’ গৃহহীন ও ভূমিহীন ৫৫ উপকারভোগী‘ক’শ্রেণী ভুক্ত পরিবার উপস্থিত থেকে একটি করে সনদপত্র ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি করে শীতবস্ত্র(কম্বল) গ্রহন করেন।

বড়ইতলী এলাকায় গুচ্ছাকারে নির্মিত ১১টি পবিরারে ঠাঁই হওয়া মোঃ রমজান আলী (৮০) বলেন, আমার ছেলে নেই, ৩ মেয়ে বিবাহিত। আমি ও আমার স্ত্রী গুচ্ছগ্রামে অন্যের জায়গায় ঝুপরী ঘরে থাকতাম,বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আমার জীবনের অন্তিম মূর্হূত্বে ঘর দিয়ে শান্তির পরশ জড়িয়ে দিয়েছেন, আমি এখন‘সুখী’, আমি নামাজ পড়ে প্রধানমন্ত্রীকে দোয়া করি।

একই অবস্থায় যোগ্যাছোলা,বাটনাতলী ও মানিকছড়ি’র মুজিবপল্লীতে ঘর পাওয়া পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। চার ইউনিয়নে ‘ক’ শ্রেণী ভুক্ত ৫৫ পরিবারের মধ্যে মানিকছড়ি সদর ইউপি’তে-১৮ পরিবার, ২ নং বাটনাতলী ইউপিতে-৬পরিবার, ৩ নং যোগ্যাছোলা ইউপিতে- ৯ পরিবার ও ৪ নং তিনটহরী ইউপিতে ২২ পরিবার আজ প্রথম ধাপে ঘরের সনদপত্র পেয়ে ঘরে উঠেছেন।

পরে অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, দেশ স্বাধীনের অর্ধশত বছর পর বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বির্পযস্ত অর্থনীতি সচল রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশব্যাপি ৬ হাজার ১শত ৮৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আজ স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে ‘সুখের নীড়ে’র সন্ধান করে দিয়েছেন। এই মহৎ উদ্যোগের জন্য মনপ্রাণ খুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটু দোয়া ও আর্শিবাদ চাই।

 

 

 

Exit mobile version