parbattanews

ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক:
আর্থিক খাতের নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে ঋণ শ্রেণীকরণ প্রভিশনিং ও পুনঃতফসিলিকরণ নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।ঋণ শ্রেণীকরণ ও পুনতফসিলিকরণ নীতিমালা শিথিলের মাধ্যমে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের এই সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতেএই ঘোষণার আওতায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে সহায়তা করতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বাবদ সরকারকে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল প্রস্তাব করবে ব্যাংকটি। বুধবার আলাদা দুটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা ওই সার্কুলারের একটিতে ঋণ পুণতফসিলের সময় ‘সর্বোচ্চ এক বছর’ বাড়ানো হয়েছে। অন্যটিতে খেলাপী ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের প্রভিশনের (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) হার কমানো হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর প্রভিশনিংয়ে ৫০০ কোটি টাকা কম লাগবে।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলন করে এই পদক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা করেন এস কে সুর চৌধুরী।
তিনি বলেন, মেয়াদী ঋণ ও সল্পমেয়াদী কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ পুনঃতফসিলভুক্ত করার জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে প্রথম পুনতফসিলের জন্য ৩৬ মাস, দ্বিতীয় পুনতফসিরের জন্য ২৪ মাস এবং তৃতীয় পুনতফসিলের জন্য ১২ মাস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন প্রথম পুনতফসিলের জন্য সময় ছিল ২৪ মাস, দ্বিতীয় পুনতফসিলের জন্য ১৮ মাস এবং তৃতীয় পুনতফসিলের জন্য ১২ মাস। অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় পুনতফসিলের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১২ ও ৬ মাস করে সময় বাড়ানো হলো।
এর ফলে তিন দফায় নিন্মমানে (সাব-স্টান্ড্যার্ড) শ্রেণীকৃত একটি ঋণ পুনতফসিল করা হলে তা পরিশোধের সময় পাওয়া যাবে ৬ বছর। আগে এই সময় ছিল সাড়ে ৪ বছর। ‘সন্দেহজনক ও ক্ষতিকর’ বিবেচিত খেলাপী ঋণের ক্ষেত্রেও একই হারে সময় বাড়ানো হয়েছে।
প্রভিশনিংয়ের বিষয়ে এস কে সুর বলেন, বিশেষ উল্লেখিত হিসাবের (এসএমএ) ক্ষেত্রে এতোদিন ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হতো। এখন তার বদলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণের ক্ষেত্রে দশমকি ২৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে আগের মতো ৫ শতাংশ, গৃহঋণ, পেশাজীবী ঋণ ও বিনিয়োগ ব্যাংকের (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউজ ও স্টক ডিলার) ক্ষেত্রে ২ শতাংশ এবং অন্যান্য সব ঋণের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর ফলে ব্যাংকগুলোকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসাবে আগের তুলনায় ৫০০ কোটি টাকা কম জমা রাখলেও চলবে। এই অর্থ তারা পূঁজিবাজারসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগও করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান, মো. নওশাদ আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version