এইচটি ইমাম ও বিভাগীয় কমিশনারের সাথে বৈঠক করলেন বাঙালি নেতৃবৃন্দ

Bandarban bangalider songgoton 11.6.2013

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করা কোন বাঙ্গালীকে উচ্ছেদ করা হবেনা। পার্বত্য এলাকায় বসবাস করে যারা প্রাকৃতিক সম্পদ আহরোণ করে জেলার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তাদের কোন ক্ষতি হোক তিনি বা সরকার প্রধান তা হতে দেবেননা। জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকার সমস্যা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রয়েছেন। পার্বত্য এলাকা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবেনা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগ ও সমযোগী সংগঠন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বান্দরবান সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফ সিদ্দিকি জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম, ডিজিএফআই কর্মকর্তা মেজর অমিত হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাতাব উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক কাজি মজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ডেসটিনি ও পিএইচপি বহু জাতিক কোম্পানি গুলো বান্দরবান অবৈধ ভাবে জেলার ৬হাজার একর দখল হওয়া ভুমি প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর এবং অবৈধ দখলবাজদের বিরুদ্দে ব্যাবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবান মিয়ানমার-ভারত সীমান্ত এলাকা হওয়ার এই জেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ এলাকায় দিয়ে যেমন ব্যাবসা বানিজ্যর সুবিধা রয়েছে তেমনি চোরাচালনকারীরা তৎপর রয়েছে। এদের প্রতিহত করতে আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।

মতবিনিময় সভার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী প্রস্তাব বাতিলসহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে তিন পার্বত্য জেলার সমঅধিকার, বাংঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, সমঅধিকার আন্দোলন ও ছাত্র ফ্রন্টএর পক্ষ থেকে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়।

আমাদের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, এদিকে হরতাল চলাকালে মঙ্গলবার বেলা এগারটার সময় রাঙামাটিতে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবুল হোসেন। এসেই তিনি উঠেন রাঙামাটি সার্কিট হাউসে। সেখানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলার ইএনওদের সাথে বৈঠকে মিলিত হবার পর বিভাগীয় কমিশনার বেলা সাড়ে তিনটার সময় মিলিত হন বেশ কয়েকটি বাঙ্গালী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে।

এসময় সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশ করতে না দিলেও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাতকালে বিভাগীয় কমিশনার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে পার্বত্য ভূমি কমিশনের ব্যাপারে তাদের অভিযোগ গুলো শুনে এব্যাপারে তার সাধ্যমত সবধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে বিষয়টি যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট জানানোর ব্যবস্থা করবেন বলে বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দকে তিনি অবহিত করেন।

সূত্রটি জানায়, বিভাগীয় কমিশনার বৈঠকে অভিযোগ শুনে এবং এসংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র তার হাতে তুলে দেয় বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দদ্বয়। এসময় তিনি বলেন, আমি খাগড়াছড়িতে দায়িত্বপালন করেছি, তাই আমি পার্বত্যাঞ্চলের বিরাজমান সব সমস্যাগুলোর কথা মোটামুটি অবগত আছি।

 বিভাগীয় কমিশনার আবুল হোসেনের সাথে সাক্ষাত কালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রশাসক মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন উপজেলার ইএ্নওগণসহ বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য গণ পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন চৌধুরী আলমগীর, পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলন জেলা কমিটির সভাপতি পেয়ার আহাম্মদ খাঁন, সমঅধিকার নেতা জাহাঙ্গীর কামাল, পার্বত্য যুব ফ্রন্টের সভাপতি মোঃ শাহজাহান ও পার্বত্য সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আল আমিন ইমরান উপস্থিত ছিলেন বলে জানাগেছে বৈঠক সূত্রে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন