parbattanews

একদিন পর খাগড়াছড়িতে ফের মাংস বিক্রি বন্ধ

খাগড়াছড়িতে একদিন পর ফের গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে বাজারে কোন দোকানে মাংস আনতে দেখা যায়নি। পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই মাংস বিক্রি বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা।

মূলত সরকার নির্ধারিত দরে লোকসানের আশঙ্কায় এমন সংকট শুরু হয় মাংসের বাজারে।

এর আগেও একই অজুহাতে খাগড়াছড়িতে দুইদিন মাংস বিক্রি বন্ধ রাখে ব্যবসায়ীরা। পরে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাথে কয়েক দফায় আলোচনার পর পূর্বের দামের চেয়ে ৫০ টাকা বেশি দরে অর্থাৎ সাড়ে ৮শ টাকায় মাংস বিক্রি শুরু হয়।

এমন অবস্থায় একদিকে যেমন সরকারি দর উপেক্ষিত হয়েছে তেমনি গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের পূর্বের দাম থেকে আরোও বাড়তি দরে বিক্রি করায় শহর জুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।

মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন ও পথে পথে চাঁদাবাজির কারণে গরু কেনায় বাড়তি দাম পড়ছে। ফলে পূর্বের দামেও লোকসান গুনতে হচ্ছে। এরইমধ্যে সরকারি দর নির্ধারণ করার পর দাম কমিয়েছে। তাতে আর্থিক লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হবে। এমন অজুহাতে ১৮ ও ১৯ মার্চ দুই দিন ঘোষণা ছাড়াই গরুর মাংসের বাজার বন্ধ রাখা হয়। পরে ২১ মার্চ সারাদিন নতুনভাবে ৫০ টাকা বাড়িয়ে হাড়সহ সাড়ে ৭শ’ ও হাড় ছাড়া সাড়ে ৮শ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়।

খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদুল আলম জানান, মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা ও লোকসানের কথা ভেবে নতুন দাম করে মাংস বিক্রি করার পর বাজার জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির। তারই প্রেক্ষিতে মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে পুনরায় আলোচনা করে সরকারি দামে বিক্রি করতে বলা হয়েছে। যার কারণে আবারও মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগী বেচাতেও সরকারি দর মানা হচ্ছেনা। কেজি প্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী।

Exit mobile version