একশত তিন টাকায় পুলিশে চাকুরী পেয়ে পানছড়ির আট পরিবারে খুশীর জোয়ার
পানছড়ি উপজেলার ৮টি পরিবারের মধ্যে বইছে খুশীর জোয়ার। মাত্র একশত তিন টাকায় পুলিশে চাকুরী পেয়ে পরিবারগুলোতে এখন স্বঃস্তির নিঃশ্বাস। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান ছিলেন এই মহতী উদ্যেগের মূল কারিগর। তাই পানছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন আসর-সেমিনারে আলাপচারিতায় প্রথমেই স্থান পায় স্বচ্ছতার খবরটি।
পানছড়ির চাকুরী পাওয়া আট জনের মধ্যে দুই জন মেয়ে বাকী ছয় জন ছেলে। কামাল, আসিফ, সৈকত, মেহেদী, মাইনউদ্দিন, হাবিব, জান্নাতুল ও হাবিবা জানায়, ব্যাংক ড্রাফট একশত টাকা ও ফরম ক্রয় করেছি তিন টাকা দিয়ে। ২৪ জুন শারীরিক বাছাই শেষে ২৫জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে চুড়ান্ত হই। তখনও বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে সোনার হরিণটি আমাদের হাতের মুঠোয়। ২৯ তারিখ মৌখিক পরীক্ষা শেষে ফলাফলে নিজেদের নাম দেখে অবাক হয়েছি।
পরিবারগুলোর অভিভাবকেরা জানায়, এই মহৎ পুলিশ সুপারকে আজীবন কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করে যাবে। সদ্য পুলিশে চাকুরী পাওয়া কামাল হোসেনের বড় ভাই বিদ্যালয় শিক্ষক মো জালাল হোসেন জানায়, মায়ের স্বপ্ন ছিল ছোট ছেলেটি সরকারী চাকুরী করবে। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণের কয়েকদিন আগেই মা মারা যায়। এভাবে একশত তিন টাকায় চাকুরীর খবর শুনলে মা খুব খুশী হতেন।
পুলিশ সুপারের মহানুভবতা আর ছোট ভাইয়ের চাকুরী মায়ের জন্যই উৎসর্গ করা হলো। পুলিশ সুপারের এই উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া পানছড়ির আনোয়ার, রফিকুল, রোবায়েত হাসান শিশির জানায়, আমরাও লেখাপড়া শেষ করে এমন একটি স্বচ্ছতা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। তাছাড়া বিশাল মনের অধিকারী পুলিশ সুপারের হাত ধরে খাগড়াছড়িবাসী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার এক বিরল দৃষ্টান্ত দেখেছে বলেও তারা জানায়।