এক মাস আগেই শতভাগ বুকিং সাজেকের সব রিসোর্ট
পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে রাঙ্গামাটির ছাদ খ্যাত সাজেক ভ্যালি। তাই বিজয় দিবসসহ টানা তিনদিনের ছুটিতে আগাম রিসোর্ট বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে সাজেকে। লক্ষ্য প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সাজেক ভ্যালিতে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির মহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখা।
এরইমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালির সব হোটেল- রিসোর্ট-কটেজের রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এমনটাই জানিয়েছেন সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট-কটেজ ব্যবসায়ীরা।
সাজেক হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জন চাকমা বলেন, অক্টোবর-নভেম্বরে সাজেক ভ্যালিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেনি। শীতে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ে কয়েকগুণ। তার উপর যোগ হয়েছে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব। সবমিলিয়ে এ সময়টাতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে সাজেক ভ্যালি। এতে করে করোনা মহামারীর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা তার।
সাম্প্রতিক সময়ে সাজেকের সবচেয়ে নান্দনিক ও অত্যাধুনিক সব সুবিধা সম্পন্ন ‘খাস্রাং হিল’ রিসোর্টের ম্যানেজার সুব্রত চাকমা বলেন, আমাদের রিসোর্টে ভিআইপি ও নন-ভিআইপি ১৯টির বেশি কক্ষ রয়েছে। এক মাস আগেই আমাদের রিসোর্টের সকল কক্ষ এ সময়ের জন্য আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও আমাদের কাছে রুমের জন্য অনেক ফোন আসছে। কিন্তু আমরা কাউকেই রুম দিতে পারছি না।
ডিসেম্বরের শুরুতেই নিজেদের সবগুলো রুম আগাম বুকিং হয়েছে জানিয়ে ‘সাজেক বিলাস’ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক সজীব চাকমা বলেন, ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য নতুন কাউকে রুম দেওয়া সম্ভব নয়।
নিজেদের রিসোর্টে রুম খালি না থাকার কথা জানিয়ে ‘গ্র্যান্ড সাজেক’র ব্যবস্থাপক মারুফ হোসেন বলেন, এক মাস আগেই আমাদের সব রুমের আগাম বুকিং হয়েছে। ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর সাজেকের সব রিসোর্টেই আগাম শতভাগ বুকিং হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ছুটি থাকবে। পরের দুইদিনও (শুক্রবার ও শনিবার) রয়েছে সরকারি ছুটি। সে হিসাবে ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর তিনদিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আর সেই সুযোগকে হাতছাড়া করতে নারাজ পর্যটকরা।
সূত্র: জাগোনিউজ