parbattanews

এক যুগ ধরে কামরাবন্দী পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

যুগের অধিক সময় ধরে অকেজো অবস্থায় কামরাবন্দী হয়ে আছে পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন। স্থাপনের পর তা সচল ছিল মাত্র তিন-চার মাস। সেসময় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর অন্যত্র বদলীজনিত কারণে মেশিনটির কার্যক্রম থাকে দীর্ঘদিন বন্ধ।

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১ জানুয়ারী, ২০০৯ ইং সালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট যোগ দিলেও এক্সরে সেবা আর জোটেনি উপজেলাবাসীর কপালে। এরই মাঝে কয়েকজন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার চেয়ার বদল হয়। সাবেক কয়েক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছিলেন, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে।

এলাকার সচেতন সমাজের দাবি ভারত সীমান্ত ঘেষা পানছড়ির বেশীরভাগ জনগনের বাস দারিদ্র সীমার নিচে। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন প্রাইভেট সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করার সামর্থ্য অনেকের নেই। তাই এক্সরে মেশিন চালু করা দরকার।

এ ব্যাপারে টেকনোলজিস্ট (রেডিও) সৌরভ চাকমা জানান, ট্রান্সমিট লিমিটেড এ মেশিনটি সরবরাহ করেছে। কোম্পানীর লোকজন এসেছিল মেশিনটির অবস্থা দেখতে। তারা সিএমএসডি’কে অবগত করবে। সিএমএসডি বাজেট অনুমোদন দিলেই তা মেরামত করা হবে। তবে সৌরভ চাকমার ব্যাক্তিগত ধারণা খাগড়াছড়িস্থ ঠাকুরছড়ায় গ্রীড চালু হলে হাই ভোল্টেজে হয়ত মেশিনটি চালানো যাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সনজীব ত্রিপুরা জানায়,  কয়েক দফা সার্ভে করে সিএমএসডি’তে রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও কোন খবর নেই। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, ঠিকাদারের মাধ্যমে নিম্নমানের এক্সরে মেশিন আমদানীর ফলেই লো-ভোল্টেজ, হাই ভোল্টেজ গ্যাড়াকলে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার তেষট্টি হাজার জনগন। এ ব্যাপারে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তারা।

Exit mobile version