এখনো উদ্ধার হয়নি মাটিরাঙ্গার অপহৃত চার শ্রমিক

07.07.2014_Matiranga Kidneped NEWS Pic

মুজিবুর রহমান ভুইয়া :

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ব্যঙ্গমারা এলাকা থেকে রোববার রাতে অপহরণ হওয়ার পর ২৪ ঘন্টা পেরুলেও ৪ শ্রমিকের এখনো সন্ধান মেলেনি। সেনাবাহিনীর একাধিক টিম উদ্ধার অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত তারা কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। তারা বেঁচে আছে নাকি তাদেরকে খুন করা হয়েছে তাও সকলের অজানা।

অপহৃতরা চার শ্রমিক হলেন, ময়মনসিংহের রাজু, ফেনীর ফারুক ও হাসান, চট্টগ্রামের লিয়াকত। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার  (জেডএসও) ক্যাপ্টেন কাওছার। এদিকে অপহৃতদের উদ্ধারে ৩৬ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের মাটিরাঙ্গা উপজেলার ব্যাঙমারা এলাকায় নির্মানাধীন ব্রীজের সাইট থেকে ৪ শ্রমিককে অপহরণ করা হয়। চাঁদার দাবীতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা তাদেরকে অপহরণ করে থাকতে পারে ধারণা করছেন ব্রীজটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আনোয়ার হোসেন এন্ড প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘দীঘিদিন ধরে মোটা অঙ্কের চাদাঁ দাবী করে আসছিলো স্থানীয় পাহাড়ী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস (সংস্কার) এর পক্ষ থেকে। তারাই এ অপহরণের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। শ্রমিক অপহরণের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এ প্রতিনিধি।

অপহরণের ২৪ ঘন্টা পেরুলেও এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) মো: শাহজাহান হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখনও আমাদের সাথে কথা বলেনি। অভিযোগ করা না হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথেই দেখা হচ্ছে।

এদিকে ইউপিডিএফ‘র প্রচার ও প্রকাশনা সেলের প্রধান নিরন চাকমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা পৃথক পৃথক ভাবে অপহরণের সাথে নিজেদের সংশ্লিতার কথা অস্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইস্টার্নব্রীজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় সরকারি অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ব্যাঙমারা ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করছে।  গেল বছর ৬ সেপ্টেম্বর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মানাধীন এ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন