parbattanews

এঙ্গোলায় ইসলাম নিষিদ্ধ, ভেঙে ফেলা হচ্ছে মসজিদ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায় ইসলামকে ধর্ম হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে ইসলামকে ধর্ম নয়, বরং একটি আচার অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেকারণে সেখানকার সবগুলো মসজিদ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত ২২ নভেম্বর থেকে তারা এ ঘোষণা বাস্তবায়নও শুরু করেছে। শুক্রবার দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রী রোজা ক্রুজ এ সিলভা এক নোটিশে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঐ মন্ত্রী বলেন- মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের সংজ্ঞা অনুযায়ী ইসলামের বৈধতা এ দেশে নেই। তাই পূনরায় নোটিশ জারি পর্যন্ত ইসলাম নিষিদ্ধ এখানে।

চলতি বছরের অক্টোবরের ৩ তারিখ, অ্যাঙ্গোলার সরকার অ্যাঙ্গোলার লোন্ডা শহরে একটি মসজিদের মিনার ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এমনকি কাজটি করার আগে শহরের মুসলমানদের একবার জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

উপরন্তু শহরের গভর্নর বেন্তো-বেন্তো রেডিওতে ঘোষণা দেয়, “উগ্রবাদী মুসলমানদের এদেশে কোনো স্থান নেই। সরকারের কোনো ইচ্ছাও নেই এদেশে মুসলমানদের কোনো মসজিদকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার!”

আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন ২০০৩ অনুসারে, অ্যাঙ্গোলার মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩ শতাংশ মুসলমান। কিন্তু খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এবং মসজিদ-মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়তে থাকে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অ্যাঙ্গোলা পর্তুগালের অধীনে ছিল। বর্তমানে দেশটির ৯৫ ভাগ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।তবে অ্যাংলোর এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে সারাবিশ্বে। এর আগেও অ্যাংলো ইসলামবিরোধী অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দেশটিতে সেপ্টেম্বরের ১১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। যেগুলোর জন্য বরাবরই মুসলমানদের দায়ী করে আসছে। এছাড়া দেশটির বিমানবন্দরে আগত মুসলমানদের আটকে রাখার বিষয়টি নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এদিকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, মসজিদ ভাঙচুর বা ইসলাম ধর্মকে আচার অনুষ্ঠান হিসেবে অ্যাখায়িত না করে অ্যাঙ্গোলা সরকারের উচিত টেলিভিশনে আলোচনা এবং বিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করা।

তবে এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকে কোনো মুসলিম নেতা বা গোষ্ঠীর প্রতিবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version