parbattanews

এডভেঞ্চারপ্রেমীদের তীর্থস্থান বান্দরবানের মনোমুগ্ধকর দেবতাখুম

বান্দরবানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় অনেক খুম। খুম অর্থ হলো জলাধার। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও বড় খুম হলো দেবতাখুম। এর দৈর্ঘ্য হলো ৬০০ ফিট। জানা যায়, এসব খুমের মধ্যে লুকিয়ে থাকে বিশালাকার সব বন্যপ্রাণী। দেবতাকুম বা দেবতাখুম বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে অবস্থিত একটি খুম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়শই নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে দেবতাখুমের মনোমুগ্ধকর সব ছবি । এডভেঞ্চারপ্রেমীদের তীর্থস্থান বলা চলে এ স্থানটিকে। বিশালাকার পাথরের ঢালের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা ঝরনা নদীর দৃশ্য মুহূর্তেই কল্পনারাজ্যে নিয়ে যায় সবাইকে।

বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাখুমের অবস্থান। খুমের গভীরতা এখানে ৫০ থেকে ৭০ ফিট। এটি বান্দরবানের আরেক জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান ভেলাখুম থেকে অনেক বড় এবং অনেক বেশি বড়। মাত্র ২-৩ হাজার টাকার মধ্যেই ডে লং ট্যুরে ঘুরে আসতে পারবেন দেবতাখুম থেকে।

দেবতাখুমে যাওয়ার আগেই পড়বে ছোট্ট এক খুম। যার নাম ‘পং সু আং খুম’। এ খুমে সাতার কেটে বা এর সঙ্গে লাগোয়া গাছের শিকড় ধরে ঝুলে ঝুলে যেতে হয় দেবতাখুমে। এর পথ যেমন সুন্দর তেমনই ভয়ংকর। বর্ষায় খুমের পানি আরও বেড়ে যায়। তখন সেখানে যাওয়া বেশ কষ্টকর। পিচ্ছিল পাথুরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

ভেলা ছাড়া দেবতাখুমে যাওয়ার উপায় নেই। ভেলা নিয়ে যতোই এগিয়ে যাবেন ততোই জায়গাটা সরু হবে । এমনো জায়গা ভেলা দিয়ে পাড় হবেন যেখানে সূর্যের আলো খুবই কমই ঢুকে। জুন থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেবতাখুমে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির সময় খুম একদম পানি দিয়ে ভরা থাকে, তাই অনেকদূর পর্যন্ত ভেলা নিয়ে যেতে পারবেন ।

Exit mobile version