parbattanews

এনজিও’র বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় যুবক নিহতের প্রতিবাদে কোর্টবাজারে মানববন্ধন, ৩ দিনের আল্টিমেটাম

উখিয়া প্রতিনিধি:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইএনজিও/ এনজিও ব্যবহৃত গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে রায়হান মোস্তফা তারেক নামক এক যুবক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও আহতদের ক্ষতিপূরণ এবং ঘাতক ড্রাইভারদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন উখিয়ার কোর্টবাজার স্টেশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কোর্টবাজার শাখা আয়োজিত এ মানববন্ধনে সাধারণ জনগণ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ছাত্রনেতা ও শিক্ষার্থী সহ এনজিও গাড়িতে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি কোর্টবাজার সোনার পাড়া সড়কে এনজিওদের বেপরোয়া গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে রুমখাঁ মাতব্বর পাড়া গ্রামের আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে রায়হান মোস্তফা তারেক নিহত হন। এ সময় মটর সাইকেল আরোহী সুজন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইএনজিও/এনজিও দের ব্যবহৃত গাড়ির বেপরোয়া চলাচলের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। গত তিন’মাসে কমপক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত দু’শতাধিক যাত্রী।

এদিকে বৃহস্পতিবার আইএনজিও/এনজিও দের বেপরোয়া গাড়ি চলাচল বন্ধ ও দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে আর যাতে মায়ের বুক খালি না হয় এর দাবি জানিয়ে কোর্টবাজার স্টেশনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত যুবক তারেকের পারিবারিক সদস্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উখিয়া শাখার সভাপতি শাহ আলম, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কোর্টবাজার শাখার আহ্বায়ক ও ছাত্র নেতা মোস্তাফা শাকিল, নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন আন্দোলনের মনজুর আলম শাহিন, শরিফ আজাদ, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, বিএনপি নেতা দলিলুর রহমান শাহিন ও জামাল মাহমুদ, নিহত তারেকের চাচা জয়নাল আবেদীন জয়, কলেজ ছাত্র মিজানুর রহমান সাইফুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. তারেক প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা আগামী তিন দিনের মধ্যে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে চাকায় পিস্ট হয়ে নিহত মটরসাইকেল আরোহী তারেক এর ঘাতক এনজিও গাড়ির সনাক্ত ও ড্রাইভারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

এ সময়  বক্তরা, কক্সবাজার শহর থেকে সোনার পাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে আইএনজিও/এনজিওদের গাড়ি যাতায়াত বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

Exit mobile version