এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি


বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে বাড়িভাড়া ভাতা বাড়িয়ে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এই ভাতা দুই ধাপে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরেই শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন। অবশিষ্ট ৭.৫ শতাংশ আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত রোববার সরকার থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে, ন্যূনতম ২,০০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকরা সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা দাবি করে যথাক্রমে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ।
এই দাবিগুলো সামনে রেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানিয়েছেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবার শিক্ষকরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করবেন। যারা শহীদ মিনারে আসতে পারবেন না, তারা জেলা ও উপজেলা সদরে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।”
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি, সচিবালয় অভিমুখে মিছিল এবং শাহবাগ মোড় অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

















