parbattanews

এলপিএল থেকে সাকিব-লিটনের বিদায়, ফাইনালে বি-লাভ ক্যান্ডি

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ফাইনালে যেতে প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও, দ্বিতীয় সুযোগ ছিল গল টাইটান্সের সামনে। এবারও সেই ধাপে উৎরাতে পারলেন না সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসরা। জয়ের জন্য ১৫৮ রান খুব বেশি বড় কোনো স্কোর ছিল না। কিন্তু এই রানটাই করতে পারলো না সাকিব আল হাসানের গল টাইটান্স।

শনিবার (১৯ আগস্ট) কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলেছিল ক্যান্ডি। বিপরীতে গল থেমেছে মাত্র ১২৮ রানে। ফলে হাসারাঙ্গার দল ৩৪ রানের জয় পেয়েছে।

বল হাতে দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং করেছিলেন সাকিব। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১টি উইকেট। ব্যাট হাতে কিন্তু খুব বেশি কিছু করতে পারেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ১৫ বল খেলে তিনি করেছেন ১৭ রান। মাত্র দুটি বাউন্ডারি মারতে পেরেছিলেন তিনি।

শুধু সাকিবই নন, গল টাইটান্সের ব্যাটাররা বি-লাভ ক্যান্ডির বোলারদের পিটিয়ে বড় কোনো জুটি বা এককভাবে বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি কেউ। ৩২ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন সোনাল দিনুশা। লিটন দাস চেষ্টা করেছিলেন ভালো একটি স্কোর গড়ার। ১৯ বল টিকেছিলেন। ৪টি বাউন্ডারি মেরে ২৫ রান করে আর টিকতে পারেননি। চতুরঙ্গ ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

অথচ, ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লিটন এবং লাসিথ ক্রসপুলে মিলে ৪.৩ ওভারে (২৭ বল) গড়ে তোলেন ৩৮ রানের অনবদ্য জুটি। তখন মনে হচ্ছিল, ফাইনালে বুঝি এক পা দিয়েই ফেললো গল টাইটান্স।

কিন্তু ৩৮ রানের মাথায় লিটন দাস আউট হওয়ার পরই ছন্দপতন ঘটে। ক্রসপুলে ১৪ রান করে আউট হন। সোহান ডি লিভেরা ১ রান করে বিদায় নেন। সাকিব জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ৩ উইকেটে ৪৫ থেকে ৭৩ রান পর্যন্ত টেনে নেন দলকে। কিন্তু তিনিও আউট হন ১৭ রান করে। এরপর সোনাল দিনুশা একপ্রান্তে দাঁড়ালেও অন্য প্রান্তে টানা উইকেট পড়তে থাকে। যার ফলে, রানের গতিও কমে যায়।

শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৩ রানে থেমে যেতে হয় গল টাইটান্সকে। ৩৪ রানের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে যায় বি-লাভ ক্যান্ডি। ফাইনালে আজ রাতে তারা মুখোমুখি হবে ডাম্বুলা আউরার।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে বি-লাভ ক্যান্ডি। অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা করেন সর্বোচ্চ ৪৮ রান। দিনেশ চান্ডিমাল করেন ৩৮ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৪ রানে রানআউট হয়ে যান। চতুরঙ্গ ডি সিলভা ৬ বলে ১৫ রান করে দলকে একটা চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে যান।

Exit mobile version