এয়াতলংপাড়া দারুল হুদা নুরাণী মাদ্রাসায় ভূমিদান করলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
মানিকছড়ি উপজেলার প্রাচীন জনপদ এয়াতলংপাড়ায় কোন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান না থাকায় দ্বীনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল মুসলিম জনগোষ্ঠীর শিশু-কিশোররা। ফলে দ্বীনি শিক্ষায় বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় সমাজপতিরা। কিন্তু ভূমির কারণে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) উত্তর ডলু গ্রামের হাজী সফর আলীর বড় ছেলে মানিকছড়ি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো. এমদাদুল হক স্ব-ইচ্ছায় এক বৈঠকে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান‘এয়াতলংপাড়া দারুল হুদা নূরাণী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ৪০ শতক ভূমি দান করেন।
সোমবার জোহর নামাজ শেষে এয়াতলংপাড়া জামে মসজিদে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা কমটিরি উপদষ্টা হাজী মো. এমদাদুল হক, সাবেক মেম্বার ওমর আলী, কামাল হোসেন মেম্বার, আব্দুল মান্নান মেম্বার, সুরুজ মেম্বার, আবুল হোসনে মাষ্টার উপস্থতি ছিলেন।
সুরা সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মানিকছড়ি মাদ্রাসার পরচিালক হাফজে মোঃ ফজলুল হক, মাওঃ নুর মোহাম্মদ, মহিলা মাদ্রাসার পরচিালক, মুফতি মোঃ দিদারুল আলমসহ আরও বহু লোকের উপস্থিতে মাদ্রাসার নাম করণ ও জমি ওয়াকফ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠতি হয়।
এতে সমাজ পরচিালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন বলেন অত্র এলাকার ২কিঃমিঃ কোন ইসলামি নূরাণী হেফজ খানা নাই, দ্বীনি শিক্ষার জন্য আজ অত্র সামজের সকল মুসলমি ঐক্যবদ্ধ ।
হাজী মোঃ এমদাদুল হক, মানিকছড়ি এয়াতালংপাড়া দারুল হুদা নূরাণী ও হেফজখানা মাদ্রাসার নামকরণ করে নিজ সম্পত্তি হতে মাদ্রাসার নামে ৪০(চল্লিশ শতক) একর জমি দান করনে।
জমি দাতা জানান কোরআন শিক্ষার জন্য এই জমি ওয়াকফ বা দান করলাম। আল্লাহতায়ালা যেন তা কবুল করেন।
সভা শেষে তাৎক্ষনিকভাবে মাদরাসার ঘর নির্মাণে আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেন অনেকে। পরে মোনাজাত পরিচালনা শেষে ভূমিদাতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সমাজপতিরা।