parbattanews

এ সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গা শূন্য হচ্ছে বান্দরবান

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১৬০ জন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চাকঢালা ও ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছিল। এরমধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া ১৮ হাজার ৬৩৮ জনকে কক্সবাজারের কুতুপালং এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এখন সেখানে আর কোনও রোহিঙ্গা শরণার্থী নেই। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি চাকঢালা সীমান্তের ৩টি শরণার্থী ক্যাম্পে এখনো ৯ হাজার ৫২২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। যাদের চলতি সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে আশ্রয় নেওয়া ২৮ হাজার ১৬০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ১৬ হাজার ১৬০ জন ‍নিবন্ধিত এবং ১২ হাজার রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত। নো ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গার ওপর যে কোনও মুহূর্তে ওই দেশের সেনাবাহিনী হামলা করতে পারে এ আশঙ্কায় তাদের কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এখনো নাইক্ষ্যংছড়ি চাকঢালা সীমান্তে অবস্থানকারী শরণার্থী রোহিঙ্গাদের জন্য ১২ হাজার ৬১৫ কেজি চাল, ৬২৮কেজি ডাল, ১হাজার  ৫০২ কেজি লবন, ৫শ’ কেজি চিড়া, ৭২৪ কেজি চিনি, ১ হাজার ২শ’ লিটার তেল, পেয়াজ ও রসুন ৩২৩ কেজি, ১৫১ প্যাকেট বিস্কুট, ১হাজার ২শ’ পিস লুঙ্গি, ১৩৭ বস্তা কাপড়, ৬৪০টি কোরান শরীফ, ৪০টি জায়নামাজ, ১ হাজার পিস কম্বল, ৩ হাজার ৫শ’ টি সাবান ও ২৫২টি প্লেট ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ মজুদ রয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের এখানে থাকাকালীন সময় কোনও রোহিঙ্গা শরণার্থী না খেয়ে মরে নাই। তারা প্রত্যেকেই নিজের ঘরের মত এখানে বসবাস করেছে। তবে তাদের এখানে থাকাটা নিরাপদ ছিল না। তাই তাদের কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালং এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও রয়েছে তাদেরকেও এ সপ্তাহের মধ্যে কুতুপালং-এ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Exit mobile version