ওএমএসের চাউল পেতে নিম্নআয়ের মানুষের ভীড়, তৃণমূলে সুবিধা নিশ্চিতের দাবি

fec-image

দেশব্যাপী নিম্নআয়ের মানুষকে মূল্য সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতি রাখার লক্ষ্যে ন্যায্যমূল্যে ওএমএস বা খোলা বাজারে চাউল বিক্রি শুরু করেছে সরকার।

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নে দুই জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন (শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত) ৮শ পরিবারে ৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের হতদরিদ্ররা এই সুবিধার আওতায় এলেও তৃণমূলের হতদরিদ্র পরিবারগুলো সরকারের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কাক ডাকা ভোরে থেকেই ওএমএস এর চাউল কিনতে এসে লাইনে ভীড় জমায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের নারী ও শিশুরা। দুপুর হতে না হতেই বরাদ্দকৃত (প্রতি ডিলার) ২ মেট্রিক টন চাউল হজম করে নেয় ওএমএস ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (৪ অক্টাবর) সকাল ৯টায় উপজেলার খাদ্য গুদামের সামনে ওএমএস ডিলারের দোকানে নারী ও কিশোরদের লম্বা সারি দেখা গেছে।

এ সময় ডিলার মাসুদ হোসেন বাপ্পি বলেন, দিন দিন যেভাবে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ ৩০ টাকা কেজিতে জনপ্রতি ৫কেজি চাউল নিতে ভীড় বাড়ছে। দৈনিক বরাদ্দ ২ মেট্রিক টন চাউল ৩/৪ ঘণ্টায় বিতরণ শেষ হয়ে যায়। অনেক মানুষ এসে ফেরত যায়।

তালতলা আরেক ওএমএস ডিলার উহ্লাপ্রু মারমা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু করলে ১১ টার আগেই ২ মেট্রিক টন চাউল বিক্রি শেষ হয়। জনপদে নিম্নআয়ের মানুষ বেশি হওয়ায় ন্যায্যমূল্যে খাদ্য সংগ্রহে মানুষ ভীড় জমাচ্ছে।

উপজেলার ২ নম্বর বাটনাতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম বলেন, ওএমএস খাদ্যশস্য কেবলমাত্র উপজেলা সদরে বিতরণ করা হচ্ছে। ফলে তৃণমূলের হতদরিদ্র পরিবারগুলো সরকারের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলার তৃণমূলে অসহায়, হতদরিদ্র মানুষ ওএমএস সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপজেলা সদর ইউনিয়নে দুইজন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে আপাতত অন্য ইউনিয়নগুলোতে ওএমএস সুবিধা বাড়ানোর সুযোগ নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন