parbattanews

ওরা গুলি করতেই থাকবে, আমরা ফুল দিবো এটা হয় না: দীপংকর তালুকদার এমপি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

ওরা গুলি করতেই থাকবে, আমরা ফুল দিবো এটা হয় না। আমরা শুধুমাত্র আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমরা মনে করি, আইন প্রয়োগ করে এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা যায়। এসময় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, অবৈধ অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আসবে।

বুধবার (২০ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা এবং বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।

এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুজ্জামান মহসীন রোমান প্রমুখ।

এসময় এমপি দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৮ ও ১৯ তারিখের ঘটনা নিয়ে টিভির টকশোতে কিছু বুদ্ধিজীবী বলছেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব? মিলিটারীর উপর গুলি ছুড়ে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব? বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের গুলি করে হত্যা করলে কি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব?

এই সমস্ত কর্মকান্ডকে বলা হয় নৈরাজ্যবাদী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এই ধরণের সমস্ত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করি।

তিনি বলেন, আমরা কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তির বক্তব্যের বিরুদ্ধে নয়, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড, বক্তব্য দেয়ার অধিকার আছে। আমরা এই অধিকার সংরক্ষণ করতে সচেষ্টা থাকি। আমাদের লড়াইটা অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এবং এখানকার পাহাড়ি-বাঙালি ন্যায় অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে। তারা চাই আওয়ামীলীগে এখানে শক্তিশালী হউক তাই একের পর এক খুন করে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করে বলেন, যারা সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই গুলি সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যার বুকে নয়, এই গুলি আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর বুকে লেগেছে।  যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আওয়তায় আনা হউক। তা না হলে হরতাল কেন হরতালে চেয়ে বিশাল কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভ সমাবেশে।

এর আগে রাঙ্গামাটি রাঙ্গামাটি পৌর চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিচিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে মিলিত হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ফলে কয়েক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

Exit mobile version