parbattanews

ওসি প্রদীপসহ আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বুধবার (৫ আগস্ট) টেকনাফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দায়ের করা মামলাটি টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।

রাতে মামলাটি রেকর্ড করার পর ওসি প্রদীপসহ সব আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়।

নিহত মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদি হয়ে সকালে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আদালতের নির্দেশে একই দিন রাত ১০ টায় টেকনাফ থানায় এটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।

মামলা নং সিআরঃ ৯৪/২০২০ ইং টেকনাফ। ধারা দন্ড বিধির ৩০২, ৩০১ ও ৩৪। মামলাটি রুজু করার সাথ সাথে সকল আসমীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করা হয়।

এই মামলায় শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই লিয়াকত হোসনকে ১নং ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২নং আসামি করে অন্যান্য ৭পুলিশসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামীদের অন্যান্যা হলেন-এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনেস্টবল সাফানুর করিম, কনেস্টবল কামাল হোসেন, কনেস্টবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল ও কনেস্টবল মো. মোস্তফা।

আদালত মামলাটি সরাসরি গ্রহণ করে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার জন্য টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি তদন্তের জন্য র‍্যাব-১৫ এর সিওকে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে মামলার অগ্রগতি জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে ইতোমধ্যে আইসি লিয়াকত হোসেনসহ শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ২০ পুলিশ প্রত্যাহার করে সেখানে নতুন পুলিশ দেয়া হয়।

৫ আগস্ট রাতে ওসি প্রদীপকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে টেকনাফ থানায় এবিএমএস দোহাকে নতুন ওসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

Exit mobile version