“সমুদ্র সৈকতের পাশে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেয়া হবেনা”

কক্সবাজারকে একটি উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: কউক চেয়ারম্যান 

 

কক্সবাজার শহর ও বীচকে আমরাই ধ্বংস করে দিয়েছি। চারিদিকে অপরিকল্পিত স্থাপনায় ভরে গেছে। যে যেভাবে পেরেছি দখল করেছি। এমন অবস্থায় পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই কষ্টের। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কক্সবাজারকে একটি উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে। এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় ‘ইসলামী স্থাপত্য শিল্পের আলোকে কক্সবাজারের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে  কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিজের মতো করে অনেকে সাগর পাড় দখল করে দোকানপাট বসিয়েছে। সমুদ্র সৈকতের পাশে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেয়া হবেনা। কউকের জনবল সংকট কাটলেই অভিযানে নামবো।

কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সর্বপ্রথম কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি ঘুষমুক্ত অফিস ঘোষণা দিয়েছি। তাতে অনেক নেতা কষ্ট পেয়েছেন। আমার বিরোধীতাও করেছেন। মিছিল সমাবেশ পর্যন্ত করেছেন। তবু থেমে থাকেনি আমার কাজ। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই বিশ্বাসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

বিদেশীদের জন্য টেকনাফের দিকে ‘এক্সক্লুসিভ জোন’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। একজন্য সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। স্বপ্নের কক্সবাজার বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এসময় তিনি খুরুশকুলে নতুন কক্সবাজার করার পরিকল্পনার কথা জানান। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার মুহাদ্দিস ওবায়দুল্লাহ হামজা।

হেফাজতে ইসলামের জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ আলোচক ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

সেমিনার সঞ্চালনায় ছিলেন কক্সবাজার ওয়াপদা জামে মসজিদের খতীব এডভোকেট হাফেজ মাওলানা রিদওয়ানুল কাবীর। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন ইসলামী ছাত্র সমাজের জেলা সভাপতি হাফেজ শওকত আলী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন