parbattanews

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ‘ছরা’ দখলে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা!

রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট করে ঘেরা-বেড়া দিয়ে ওই ছরাটি দখল করে আসছে

অবশেষে কক্সবাজারের শহরের ঐতিহ্যবাহী উত্তর রুমালিয়ারছড়ার ছরাটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। শহরের উত্তর রুমালিয়ারছরাস্থ ছিদ্দিক হাজীর বাড়ীর পিছনে এ দখল কার্যক্রম চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে গিয়ে।

স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরধারির অভাবে প্রভাবশালী ভূমিদস্যূরা ওই ছরাটিতে মাটি ভরাট করে জমি দখলে নিয়ে ইতোমধ্যে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে পৌরসভার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপশি প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট করে ঘেরা-বেড়া দিয়ে ওই ছরাটি জনৈক সাইফুল আর রফিক সিন্ডিকেট দখল করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়টি জানার জন্য কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আক্তার পাখির সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আমিও সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে আমি পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতার রিপোর্ট দিয়েছি। তিনিও পৌর কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভার অন্যতম জলাধার উত্তর রুমালিয়ারছড়ার উপর দিয়ে প্রবাহিত পৌরসভা কর্তৃক চলমান ছরাটি সংরক্ষণ বাঁধের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তারপর ভূমিদস্যুরা ছরার দুই-তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নিয়ে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরি করছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, কক্সবাজার পৌরসভার জলাধার উত্তর রুমালিয়ারছড়ার উপর দিয়ে পৌরসভা কর্তৃক চলমান ছরাটি সংরক্ষণ বাঁধের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তারপর ছরার দুই-তৃতীয়াংশ জমি দখল করে নিয়ে তারা বাউন্ডারী ওয়াল তৈরি করছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ভূমিদস্যুরা এখনো দখল কার্যক্রম বন্ধ করে নেই। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন সিকদার জানান, বিষয়টি নিয়ে দখলবাজদের সাথে কথা হয়েছে। তবুও তারা কৌশলে দখলবাজি চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে কক্সবাজার পৌর প্রশাসন দ্রুত ছরাটি দখলমুক্তসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

অনেকেই ইতোমধ্যে এই দখল কার্যক্রম নিয়ে ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে দিয়েছেন। তাই বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ না হওয়ার আগেই যদি পৌর প্রশাসন ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।

Exit mobile version