কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘হেলমেট’ বাহিনীর ভয়ে ৪লাখ মানুষ

 

বিশেষ প্রতিবেদক:

ওরা পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবও নয়, কালো মুখোশধারী ও হেলমেড পরিহিত অবৈধ অস্ত্রধারী আওয়ামীলীগের ক্যাডার। গত ২৫অক্টোবর চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারা গ্রামে ওদের গুলিতে নিহত হয়েছে শাহ আলমের পুত্র ছাত্রদল কর্মী মিজানুর রহমান (১৬)। গত রোববার ৬০ঘন্টা ব্যাপী হরতালের ১ম দিনে চকরিয়া পৌর সদরের সোসাইটিতে ওদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত করিম বক্সুর পুত্র মো: জাকের (৫৫)। চকরিয়া সদরে মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি টহলরত থাকা অবস্থায় পিকআপ নিয়ে মুখোশধারী ও হেলমেড পরিহিত সশস্ত্র আওয়ামী ক্যাডাররা নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে মানুষকে হতাহত করলেও এদের গ্রেফতার করেনা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা। পুলিশ প্রশাসন এসব অস্ত্রধারীদের দেখেও কৌশলে মুখ ফিরিয়ে রাখে। একারণে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়ে পৌরসদরসহ চকরিয়ার ৪লাখ মানুষ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিটি ভীত সন্তস্ত্র এলাকা থেকে।  

এলাকার সচেতন মহল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে দাবী করা হয়েছে, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের হাতে থাকা অস্ত্রের চেয়েও ওদের হাতে রয়েছে আরো ভয়ংকর মরণাস্ত্র। এভয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা নিরাপদে বাড়ি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বের হতে সাহস পাচ্ছেনা। আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতাকর্মী ওই সশস্ত্র ক্যাডারদের এজঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ ও অস্ত্র প্রদর্শনী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবী করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক নেতারা ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের চুরি, ডাকাতি, খুন, জমি দখলসহ সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। কিন্তু আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর আস্কারা পেয়ে ওই সশস্ত্র ক্যাডাররা দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কার নেতৃত্বে কারা এই অস্ত্রের বহর নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি মেরে মানুষ হত্যা করছে তা জেলাবাসী ও প্রশাসনের অজানা নয়। নারায়নগঞ্জের শামীম ওসমান, ফেনীর জয়নাল হাজারী, লক্ষীপুরের তাহেরকে হার মানিয়েছে চকরিয়ার সাবেক জনপ্রতিনিধি ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা। মিথ্যা মামলার শিকার ও নির্যাতিত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের ভয়ংকর ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন