কক্সবাজারে অনলাইন ক্যাসিনো কাণ্ডে এবার চিকিৎসক গ্রেপ্তার

fec-image

বিপিএলকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়াড়িরা। শীর্ষ অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট এইচএম মোস্তফা কামাল কারাগারে থাকলেও এবার জুয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন একজন চিকিৎসক। তার নেতৃত্বে সক্রিয় হয়ে উঠার চেষ্টা করেছিল প্রায় শতাধিক জুয়াড়ি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে অনলাইন ক্যাসিনোতে নেতৃত্ব দেয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাঁর নাম ডা. পিংকেল (২৮)। তিনি শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার অমর কান্তি দাশের ছেলে। পিংকেল পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। হাসপাতাল সড়কের এসথেটিক ডেন্টাল কেয়ারে রোগী দেখেন তিনি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাসুম খান। সঙ্গে ছিলেন পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, উপপরিদর্শক রাজীব সূত্রধরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাসুম খান বলেন, বিপিএলকে কেন্দ্র করে অনলাইন জুয়াড়িরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিল। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পিংকেল নামের ওই চিকিৎসক। অনলাইন জুয়ার প্রতি বিশেষ নজরদারি ছিল ডিবি পুলিশের। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল সড়কস্থ এসথেটিক ডেন্টাল কেয়ার নামে একটি দন্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটক ডা. পিংকেল অনলাইন ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিপিএল, আইপিএলসহ সারাবিশ্বের বিভিন্ন খেলাকে কেন্দ্র করে অনলাইন জুয়াড়ি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল কক্সবাজারে। গত অক্টোবর থেকে ডিবি পুলিশ অনলাইন ক্যাসিনো বন্ধে মাঠে নামে। অভিযানের শুরুতে ২৬ অক্টোবর অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা এইচএম মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় তার প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ২৩ জন অনলাইন ক্যাসিনো জুয়াড়ির নাম উল্লেখ করে মামলা করেছিলেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক রাজীব সূত্রধর। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া ওই মামলায় ডা. পিংকেল ছিলেন এজাহার নামীয় ১৭ নং আসামি।

এদিকে মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তারের পর কিছুদিন প্রায় বন্ধ ছিল অনলাইন জুয়া। কিন্তু সম্প্রতি বিপিএল শুরু হওয়ায় আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিল জুয়াড়িদের একটি চক্র। তবে ডিবি পুলিশ অনলাইন জুয়া বন্ধে হার্ডলাইনে থাকায় শুরুতেই ধরা পড়ে মূলহোতা।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাসুম খান বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধে পুলিশ হার্ডলাইনে আছে। যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া খেলা হয় সেগুলো পুলিশের নজরদারিতে আছে। অনলাইন জুয়া নিয়ে বিশেষ টিম কাজ করছে। সুতরাং অনলাইন জুয়া খেলে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন