parbattanews

কক্সবাজারে অপহরণ : মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন টেকনাফের ৪ জন

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়। এর মধ্য চারজন এক লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ১২টার দিকে হ্নীলার নুরালী পাড়া ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ি এলাকায় তাঁরা ছাড়া পান।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের গহিন পাহাড়ে এ অভিযান চালিয়ে পুলিশ চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি একজনকেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা ৪ জন হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহ এর ছেলে মো. শামীম ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান।

তবে মোহাম্মদ নুর (১৬) নামক একজনকে এখনো জিম্মি করে রেখেছে অপহরণকারীরা। তার মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

বুধবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় খেতে পাহারার দায়িত্বে ছিল অপহৃত ওই ৫ জন কৃষক। বৃহস্পতিবার ভোরের আগে মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে যায়

স্বজনরা জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি স্বজনদের মোবাইল ফোন কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ও র‍্যাব অভিযান শুরু করে। শনিবার পুলিশ ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়।

ওসমান গনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে টেকনাফের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।

এসময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা খোলা ছিল। তারা জানিয়েছে, দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেওয়ার আগেই তাদের চোখের বাঁধন খুলে দেয়। জিম্মি হওয়ার পর থেকেই তাদের চোখ বাধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল।

ওসি জানান, অপহৃতদের মধ্যে একজন এখনো জিম্মি রয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উদ্ধার হওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মুহাম্মদ ওসমান গনি।

Exit mobile version