parbattanews

কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল কর্মকর্তার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

কক্সবাজার শহরে হোটেল ‘সি কক্স’ এর স্টাফ কোয়ার্টারে খালেদ আশরাফ বাপ্পি (২৫) নামের এক হোটেল কর্মকর্তার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন।

পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বাপ্পিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে, আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের।

খালেদ আশরাফ বাপ্পি সদরের ঝিলংজা ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নয়া পাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে এবং ওই হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার।

সে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, হোটেলে পার্ট টাইম চাকরি করতো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।

সি কক্স হোটেলের রিজার্ভেশন অফিসার অর্ণব জানান, হোটেল থেকে কিছু দূরে পাহাড়ের সাথে লাগোয়া হোটেলের স্টাফদের কোয়ার্টার। ওখানে স্টাফরা রাত্রিযাপন করেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেলের ডিউটি শেষ করে বাপ্পি স্টাফ কোয়ার্টারে চলে যান। পরে তাকে মৃত অবস্থায় কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় কোয়ার্টারে কেউ ছিল না এবং তার রুমটি ভেতর থেকে ‘লক’ করা ছিল।

বাপ্পিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মা রোকেয়া বেগম।

তিনি জানান, হোটেল সংলগ্ন মুফিজ নামের এক যুবকের সাথে যৌথ রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ছিল। ব্যবসার জন্য মুফিজকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা দিয়েছিল বাপ্পি।

করোনাকালে ব্যবসায় লোকসান অজুহাত তুলে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে মুফিজ। টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা করে। বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকিও দিতো।

ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে বাপ্পিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন রোকেয়া বেগম।

সদর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন জানান, স্টাফ কোয়ার্টারের একটি কক্ষে ঝুলন্ত লাশ দেখে সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ‘মৃত’ ঘোষণা করে। পরে রুম তল্লাশি করে ফাঁসের একটি গামছা ও মোবাইল জব্দ করা হয়।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সেলিম জানান, সহকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এখনও নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এরপরও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি তদন্ত।

Exit mobile version