parbattanews

কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে মিলছে না খাবার ও পানীয়

কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার বাসিন্দা সলমা খাতুন। বয়স প্রায় ৫৫ বছর। ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে বাঁচতে শনিবার বিকাল ৪ টা থেকে সৈকত বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। সবার রাত কেটেছে স্কুলের ফ্লোরে, টোলে কিংবা বারান্দায়। নির্ঘুম রাত শেষে কোনমতে সকাল হলো।

রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সালমা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। বসে আছেন একটি টোলে। চোখে-মুখে দুঃখের ছাপ। কি যেন বলতে যাচ্ছিলেন! কেমন আছেন, জিজ্ঞেস করতেই সলমা বলেন, এখনো কিচ্ছু পাইনি। ওপোষ। কিছু খাইনি। পাইনি। কেউ খবরও নেয় নি।

শাহ আলম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, শনিবার বিকালে এসেছি। রাতে খেয়েছিলাম। আজ (রবিবার) সকালে কোন খাবারদাবার পাই নি।

একইভাবে ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদরাসা, বাহারছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা তৈয়বিয়া তাহেরিয়ায় আশ্রিতরা খাবার পায়নি।

তবে, এইসব কেন্দ্রে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ফাউন্ডেশনের সাথে সমন্বয় করে সকালের খাদ্য ও পানীয় বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন পৌরসভার একজন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ডাবল হয়ে যাবে, তাই আমরা খাবার পাঠাইনি। তবে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমন্বয় করেছি।

এ সময় কেন্দ্র তত্বাবধায়ক কাউন্সিলর এস.আই. এম আকতার কামাল আজাদ বলেন, সকালে চিড়া ও গুড় বরাদ্দ আছে। তা যথা সময়েই পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হবে।

কুতুবদিয়ার বাসিন্দা সংবাদকর্মী এহসান আল কুতুবী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রের অনেক মানুষ শুকনো খাবার পায়নি। যথাযথ বন্টনের অভাব কিনা জানি না। অনেকেই ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।

বেশিরভাগ উপজেলায় শনিবার সকাল থেকে শুকনো খাবার বন্টন হয়েছে। কুতুবদিয়ার ইউনিয়নগুলোতে হয় রাতে বন্টন। শুধুমাত্র একটা ইউনিয়নের জন্য ২৫০ প্যাকেট নাকি বরাদ্দ! এই বরাদ্দ দিয়ে কয়জনইবা খেতে পারবে? -প্রশ্ন এহসানের।

এসব খবর নিচ্ছেন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে বর্তমানে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। যার ফলে, কক্সবাজার শহর শান্ত থাকলেও সমুদ্র বিক্ষুব্ধ অবস্থায় আছে।

Exit mobile version