কক্সবাজারে ইয়াবা মামলায় ৫ আসামির সশ্রম কারাদণ্ড
কক্সবাজার উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে ট্রাক তল্লাশি করে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ৫ আসামির পৃথক সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, যশোরের শর্শা থানার গোগা বাগানপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে মো. মিন্টু আলী, কালিয়ানীর মৃত মশিউর রহমানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে মো. আবদুল হামিদ, মনিরামপুর মাথরাপুরের বরকত উল্লাহ সরদারের ছেলে মো. বিল্লাহ হোসেন ও টেকনাফের রঙ্গিখালী নুর আহমদ প্রকাশ আঁই মেম্বারের ছেলে মো. হেলাল।
ট্রাক হেলপার মো. মিন্টু আলীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বাকি ৪ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত।
রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এস.টি মামলা নং-১৫৯৭/২০১৯ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা দেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
এ সময় আসামিদের মধ্যে ট্রাক চালক মো. আবদুল হামিদ, হেলপার মো. মিন্টু আলী ও মো. দোলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পলাতক মো. বিল্লাহ হোসেন ও মো. হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না ও এডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
২০১৭ সালের ১৫ জুলাই উখিয়ার বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে ট্রাক গাড়ি তল্লাশি করে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। ইয়াবা বহনে ব্যবহৃত ট্রাক গাড়িটিও জব্দ করা হয়। যার নং-ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৫১১১। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। যার এস.টি মামলা নং-১৫৯৭/২০১৯।
২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (নং-৩১৫) জমা দেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কায় কিসলু। আসামি মিন্টু আলী ও মো. দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। চার্জশিটে উল্লেখিত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।