কক্সবাজারে ঈদের দিনে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করল পাষন্ড স্বামী

ma

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ে এক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পবিত্র ঈদুল আযহার দিন বিকাল ৩টায় ঈদগড় ইউনিয়নের বউঘাট এলাকায় এ  ঘটনা ঘটে। এতে নিহত স্ত্রীর পিতা বাদী হয়ে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদগড় ইউনিয়নের বউঘাট এলাকার ইদ্রিছের ছেলে মো: হাশেম একই এলাকার ইসমাইলের মেয়ে তসলিমা আকতার(২৬) এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পাঁচ বছর আগে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সংসারে একটি সন্তান হয়। পরে তসলিমাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে। তসলিমা যৌতুক দিতে না পারায় তাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করা হতো। এ ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে একাধিক নালিশ দেয়া হয়।

সর্বশেষ গতকাল পবিত্র ঈদের দিন বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায় বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে সে ঘটনাস্থলে অচেতন হয়ে যায়। পরে স্বামী ব্যাটারী চালিত টমটম নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করার উদ্দোশ্যে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পথে ঈদগাও পালপাড়া এলাকায় পৌছলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যাটারী চালিত টমটমগাড়ি পরিকল্পিতভাবে উল্টো দেয়।

সেখান থেকে লোকজন তাদের উদ্বার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এই কথা বলার পর উক্ত স্বামী, টমটম চালক ও তার বাবা দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আবুল কাশেম টুলু রাত ২ টায় সদর হাসপাতালে গিয়ে লাশ ময়না তদন্ত করার ব্যবস্থা করেন।

এ ঘটনায় নিহত তসলিমার পিতা বাদী হয়ে রামু থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে স্বামী হাশেম, তার পিতা ইদ্রিছ, মা হাফেজা খাতুন, বোন মনজুন নাহার ও টমটম চালক হামিদুল ইসলামকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় মেম্বার আবুল কাশেম টুলু জানান, ‘ঘটনা শোনার পর থেকে হাসপাতালে গিয়ে মহিলার বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ঘটনা অত্যান্ত বেদনাদায়ক। ইতোপূর্বে পাষন্ড স্বামীর বিরোদ্ধে একাধিক বিচার হয়েছিল।’

রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুল মজিদ জানান, নিহত পিতার অভিযোগের ভিক্তিতে তদন্ত করার জন্য এলাকায় ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন