চকরিয়া প্রতিনিধি:
সারাদেশে কর্মরত নকল নবীশদের (এক্সট্রা মোহরার) চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল এগারটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত। কর্মসূচীতে জেলা সদরসহ ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত শতাধিক নকল নবীশ ছাড়াও কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, শ্রমিক লীগ জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান শফিক, বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক মিনার মু. সাইফুদ্দীন, বিভাগীয় সহ-সভাপতি সনজীব রুদ্র, বিভাগীয় যুগ্ম সম্পাদক শ্রীদুল রঞ্জন দাশ, জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ দে, নুরুল মোস্তফা, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, বিদ্যুৎ কান্তি দাশ, মোবারক, বিকাশ, সজিব, তারেক, শুক্কুর, রবিউল, তপ্না দে, মৌরী বড়ুয়া, হাসান ইমাম প্রমূখ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদেশের নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ৪ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের ৮ উপজেলায়ও বন্ধ রয়েছে জমি রেজিস্ট্রি, প্রয়োজনীয় দলিলাদির নকল সরবরাহ, বালাম লেখাসহ রেজিস্ট্রি অফিসের সার্বিক কার্যক্রম। এতে প্রতিদিন মানুষ এসব অফিসে জমি বেচা-কেনা, নকল উত্তোলনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে আসলেও আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক মিনার মু. সাইফুদ্দীন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণা দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এই ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত আন্দোলন-কর্মসূচী পালন শেষে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করা হয়। ওই সমাবেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। এ প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হলেও তা আলোর মূখ দেখে নি। তাই দ্বিতীয় দফায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে একযোগে আন্দোলন-কর্মসূচী চলছে আমাদের। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দরা।