parbattanews

কক্সবাজারে কুরবানির পশুর হাটে ফ্রি-ওয়াইফাই

unnamed

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কুরবানির ঈদের বাকী আর মাত্র ৪ দিন। আসছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে কক্সবাজার জেলাব্যাপী কুরবানির পশু কেনা-বেঁচা। জমে ওঠেছে পশুর হাট-বাজারগুলো। জেলার আট উপজেলায় শতাধিক কুরবানীর পশুর হাট বসেছে। এসব বাজারে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। বসানো হয়েছে জাল টাকার নোট সনাক্তকরণ মেশিন।

রবিবার থেকে কক্সবাজার শহরের খুরুশকূল রাস্তার মাথার সামনে শুরু হয়েছে জমজমাট কুরবানির পশুর হাট। জেলার সর্ববৃহৎ বাজারটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে ফ্রি-ওয়াইফাই সার্ভিস। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই পশুর হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু আনা শুরু হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আযহার সময়ে জেলার সবচেয়ে বড় কুরবানির পশুর হাট হয় কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র পশুর হাট। এই হাটে প্রতিবছর ৩ থেকে ৮ হাজার কুরবানির গরু ছাগল ও মহিষ বিক্রী হয়। কুরবানির দিন সকাল পর্যন্ত এই হাটে পশু বেঁচা-কেনা চলবে। সরেজমিনে দেখা যায়, কুরবানির হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা ফ্রিতে ওয়েফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।

কক্সবাজার পৌরসভার কুরবানির হাটের ইজারাদার জসিম উদ্দিন হেলাল জানান, এইবারের পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শহরের ভেতরের এই হাটে দিনরাত বেঁচা-কেনা হয়। হাটে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, শহরের রুমালিয়ারছড়ার চৌধুরী ভবনের সামনে থেকে খুরুশকূল ব্রিজ পর্যন্ত পৌরসভার একমাত্র কুরবানির পশুর হাট। পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় এই হাট বসানো হয়েছে। এই হাট ছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার অন্য কোন স্থানে কুরবানির হাট বসতে দেয়া হবেনা। এই পশুর হাটে সকলেই নির্বিঘ্নে পশু বেচাকেনা করতে পারবে। পৌর কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষনিক এই হাট মনিটরিং করবে। নির্ধারিত ৩% টোলের বাইরে অতিরিক্ত টোল আদায় করতে পারবেনা কেউ।

পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, জেলার কুরবানির পশুরহাটে আলাদা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ কোন বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

Exit mobile version