parbattanews

কক্সবাজারে খুলেছে দোকানপাট, শপিংমল-মার্কেটে নারীদের আধিক্য

কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে কক্সবাজার শহরের মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট। চলছে ছোট-বড় প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে কিছুটা হলেও দেখা দিয়েছে স্বস্তি। সমানতালে বেড়েছে যানবাহন জটলা। তবে, প্রথম দিনে ক্রেতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) শহরের অভিজাত শপিংমল মেগামার্ট, এ. ছালাম মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট, ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্স, বেশ কিছু জুয়েলারী দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে, দোকানপাট খোলার অনুমতির প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা, তা তদারকি করতে প্রশাসনের কোন অভিযান বা প্রচারণা চোখে পড়ে নি।

রবিবার দুপুর ১২টায় মেগামার্টে গেলে দেখা যায়, ৭/৮ জন তরুণী ও নারী থান কাপড়, শাড়ি, থ্রিপিচ ইত্যাদি পছন্দ করছে। অনেকে কিনছে প্রসাধনী। সবাই মুখে মাস্ক পরেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনেছে। দোকানে ক্রেতাদের বসার জন্য রক্ষিত চেয়ারগুলোও সেভাবে সাজানো। মালিক-কর্মচারি সবার মুখেও দেখা গেছে মাস্ক।

মেগামার্টে ঢুকার পথে রাখা হয়েছে হ্যান্ডসেনিটাইজার। সব মিলিয়ে তারা অনেকটা নির্দেশনা মেনে চলেছে বলা যায়।

মেগামার্টের স্বত্তাধিকারী জহিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে তারা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখিন। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ। তবে, শর্ত সাপেক্ষে দোকান খোলতে সুযোগ পাওয়ায় সরকারের নিকট ব্যবসায়ীরা কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে দোকান খোলেছি। ক্রেতাদেরও সেভাবে বলছি।

তবে, অধিকাংশ দোকানদার ও কর্মচারীদের মাঝে স্বাস্থ্যসচেতনতা দেখা গেলেও ক্রেতারা এ ব্যাপারে উদাসিন। বিশেষ করে এ.ছালাম মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট ও ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্সে এমন দৃশ্য প্রতিবেদকের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

এ.ছালাম মার্কেটের ব্যবসায়ী নুরুন্নবী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে দোকান খুলেছি। তেমন কেনাকাটা হয় নি। সামনে হবে আশা করছি।

ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্সের মীনা বাজারের স্বত্তাধিকারী আনোয়ারুল ইমরান রায়হান বলেন, করোনাকালে দোকানপাট বন্ধ থাকায় আমাদের ক্ষতি বর্ণনায় শেষ করতে পারব না। গত ১৪ এপ্রিল থেকে দোকান বন্ধ। দ্বিতীয় লকডাউনে আদেশ কিছুটা শিথিল করে ২৫ এপ্রিল হতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি যেন ব্যবসায়ীদের প্রাণ দেয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।

তবে, হাজি ওসমান গণি জুয়েলার্সের মালিক আলহাজ্ব ওসমান গণির দাবি ভিন্ন।

তিনি বলেন, আমরা শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট খোলার অনুমতি পেয়েছি, ভাল কথা। কিন্তু এমন সময়ে সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে অনেকে দোকান খোলতে পারছে না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে হতাশা।

হাজি ওসমান গণি আবেদনসুরে বলেন, ঈদ মৌসুম পর্যন্ত অন্তত কাজ বন্ধ রাখলে ব্যবসায়ীরা দু’পয়সা ইনকামের সুযোগ পাবে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বিধিনিষেধ দিয়ে হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ দেওয়ায় সরকার ও সংশ্লিষ্টদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল।

সমিতির সভাপতি রফিক মাহমুদ বলেন, নির্দেশনা মেনে ব্যবসা করতে সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে। সেভাবে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলেছে। এরপরও আমরা সরকারি নির্দেশনা কেউ অমান্য করছে কিনা, তদারকি করব। এ জন্য ব্যবায়ী, ক্রেতাসহ সর্বশ্রেণির সহযোগিতা কামনা করেছেন রফিক মাহমুদ।

Exit mobile version