parbattanews

কক্সবাজারে জন্ম সনদ কার্যক্রম প্রক্রিয়া বন্ধ ২২মাস

জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছে কক্সবাজারবাসী। কিন্তু সামনের নির্বাচন গুলোতে স্থানীয় নতুন প্রজন্ম অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহের জাল। কারণ ভোটার হওয়ার জন্য যে সনদ সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটির তৈরি প্রক্রিয়া বন্ধ আছে প্রায় ২২মাস।

রোহিঙ্গারা বাঙালি সেজে জন্ম সনদ তৈরি করে ভোটার হচ্ছে বা পাসপোর্ট বানিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে দেশের বাহিরে। যার কারণে নতুন জন্ম সনদ কার্যক্রম প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান,”রোহিঙ্গাদের দোষের দায়ভার কেন আমরা নিবো? এমনিতে তাদের কারণে সব দিকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

তারা  আরও জানান,”আমাদের সন্তানরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এই জন্ম সনদের কারণে।”
কক্সবাজার সরকারি কলেজ পড়ুয়া জাবেদ নামের এক ছাত্র বলেন,” আমার এই অনলাইন জন্ম সনদ না থাকায় ভোটার হতে পারছি না, যার কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। কিন্তু আমার কথা হলো এই দোষ কার! আর ভুগছে কে? তাদের অবৈধ পন্থা অবলম্বনের দায়ভার কেন আমরা নিবো? প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে যেন অতি সত্বর অনলাইন জন্ম সনদ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে।”

জন্ম নিবন্ধন শুধু যে ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজন তা নয়, প্রয়োজন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যও। এছাড়া চাকরির জন্য আবেদন করলে বা বিয়ে শাদী করতে চাইলে সেখানেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নতুন বাহারছড়া বাসিন্দা নতুন ভোটার প্রার্থী তুহিন বলেন, “জন্ম সনদের কারণে না পারছি ভোটার হতে, না পারছি নিজের নামে একটা সিম ক্রয় করতে আর না পারছি নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যার কারণে সবদিকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাছাড়া নতুনরা যদি ভোট দিতে না পারে সামনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।”

জরুরি প্রয়োজনে পাসপোর্ট বানানোর জন্য ৪/৫ হাজার টাকা দিলেই মিলছে এই জন্ম সনদ। চট্টগ্রামের বাহিরের বিভাগ থেকে টাকা খরচ করলে পাওয়া যায় নাগরিকদের প্রয়োজনীয় এই সনদ। জেলার বিভিন্নস্থানে ভোটার হালনাগাদ শুরু হয়েছে, সে কারণে প্রয়োজন হচ্ছে জন্ম সনদের। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ গুলো জন্ম সনদ দিতে পারছে না। যার কারণে ভোটার হতে পারছে না নতুন ভোটার প্রার্থীর অনেকে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান,”আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই বিষয়ে সুপারিশ করেছি, যাতে তারা জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে।”
যদি পুনরায় এই কার্যক্রম শুরু হয় স্বস্তি পাবে এই জেলার সাধারণ মানুষ। অংশ নিতে পারবে স্থানীয়, জাতীয় যে কোন সিদ্ধান্তে। তাই স্থানীয়দের দাবি অতিসত্বর যেন এই জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করে।

Exit mobile version