parbattanews

কক্সবাজারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

ডিজিটাল হাসপাতালে কসাই খ্যাত ডাঃ আয়ুব আলীর ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে

কক্সবাজার শহরে ডিজিটাল হাসপাতালে কসাই খ্যাত ডাঃ আয়ুব আলীর ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে যাওয়ার পথে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার পথিমধ্যে ওই রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

অভিযোগে জানা যায়, টমটমের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার ভাগিনা জোয়ারিয়ানালার মৌলভী পাড়ার মোহাম্মদ হোছনের পুত্র মোঃ রাসেল (২২) এর পায়ের তিন আঙ্গুলের হাঁড় আলাদা হয়ে যায়। তার আঙ্গুলের হাঁড়ের সার্জারি করার জন্য শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অপারেশনের জন্য রাসেলকে ওটিতে আনা হয়। পরে ডা: মোঃ আয়ুব আলী ও ডা: আলাপন চাকমা অপারেশনের আগে রাসেলকে অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন দেয়া হয়। এদিকে, ইনজেকশন দেয়ার সাথে সাথে রাসেল প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে খিচুনি দিতে থাকে। পরে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে সদর হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করার জন্য ডাক্তারেরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। সদর হাসপাতাল থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে যাওয়ার পথে রাসেল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এর আগে রাসেল এর অবস্থা বেগতিক হলে স্বজনরা সদর থানায় ফোন করেন। পরে সদর থানার এসআই প্রদীপ দে ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৃত্যুবরণ করা রাসেলের মামা বাবুল উদ্দিন বলেন, রাসেলকে যখন ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। কিন্তু না জেনে তাকে ভুল ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়। একজন রোগীর অপারেশনের আগে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা উচিত। কিন্তু ডাক্তার আয়ুব আলী তা না করে সরাসরি অপারেশনের জন্য নিয়ে গিয়ে তার ভাগিনাকে না ফেরার দেশে পাঠিয়ে দেন।

রাসেল এর মামা বাবুল আরো বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অর্থো সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আয়ুব আলী বলেন, প্রতিদিনই অপারেশন করা হচ্ছে। এসব কেসে অনেক সময় ১শ’ জনের মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু হয়। এটি মূলতঃ শরীরে যদি এলার্জি, ডায়াবেটিকস বা অন্যান্য রোগ থাকে তাহলে অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন দিলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। জীবন মৃত্যু আল্লাহ তায়ালার হাতে। তবে তিনি সর্বাত্ম চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন।

Exit mobile version