parbattanews

কক্সবাজারে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে উ খেং নু রাখাইন ওরফে নুশাং (১৯) মারা যান বলে তার বাবা মংবা অং রাখাইন জানিয়েছেন।

উ খেং নু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের (৪৮তম আবর্তন) শিক্ষার্থী। তিনি প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোডে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক পীযূষ সাহা জানিয়েছেন, “উ খেং নু বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প

রে জ্বর ভালো না হলে তার পরিবার তাকে কক্সবাজারে নিয়ে যায়।”উ খেং নুর মরদেহ কক্সবাজার শহরের আইবিপি মাঠ সংলগ্ন রাখাইন বৌদ্ধ মন্দিরে রাখা হয়েছে।

উ খেং নুর মরদেহ কক্সবাজার শহরের আইবিপি মাঠ সংলগ্ন রাখাইন বৌদ্ধ মন্দিরে রাখা হয়েছে। উ খেং নুর বাবা মংবা অং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে চাকরি করেন। উ খেং নু তার একমাত্র মেয়ে। মংবা বলেন, জ্বর হলে গত ১৭ জুলাই তার মেয়েকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। “সেখানে দুই দিন ভর্তি থাকার পর ২০ জুলাই ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ২১ জুলাই বিশ্রামের জন্য তাকে কক্সবাজারে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু জ্বরের মাত্রা তীব্র হলে শুক্রবার রাতে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করেন। ”

ডেঙ্গুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুডেঙ্গু ধরা পড়ার পর শনিবার দুপুরে উ খেং নুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে চট্টগ্রামের লোহাগড়া এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয় বলে জানান বাবা মংবা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিক উস সালেহীন বলেন, শুক্রবার রাতে উ খেং নুকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে তার ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আগের দিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ফিরোজ কবীর।

ডেঙ্গুতে এ বছর এখন পর্যন্ত এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যদিও সরকারি হিসাবে আটজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

Exit mobile version