parbattanews

কক্সবাজারে ডেঙ্গুর বিস্তার হয়নি আতঙ্কের কারণ নেই :কক্সবাজারের সিভিল সার্জন

কক্সবাজারের কোথাও এখনো ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়নি। তাই ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ আব্দুল মতিন।

ডেঙ্গু নিয়ে কক্সবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন এ কথা বলেন। তবে বাহির থেকে আসা ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কক্সবাজার জেলায় সনাক্ত করা ১৩ জন ডেঙ্গু রোগীর ১০ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ৩ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃতদের একজনকে ২৭ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হলে পথিমধ্যে ঐ ডেঙ্গু রোগী মারা যান। ডেঙ্গু’র হিংস্র থাবায় প্রাণ হারানো ওই রোগী হচ্ছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার প্রধান সহকারী মংবা অং মংবা ও জনতা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকতা ম্যা ম্যা চি’র কন্যা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিষয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উথিংনু নুশাং। মারা যাওয়া নুশাং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে কক্সবাজার এসেছিলো।

জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নেওয়া ও ভর্তি থাকা সকলেই কক্সবাজার জেলার বাইরের লোক। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া মহিলা রোগী সহ সকলেই কক্সবাজারের বাইরের এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহন করে আসা। বিশেষ করে ঢাকা ও আশে পাশের এলাকা থেকে তারা ডেঙ্গু জীবানু শরীরে বহন করে এনেছেন।

হাসপাতাল সূত্র আরো জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২ জনের একজন ঢাকা ও অপরজন নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা। কক্সবাজার জেলার কোন নাগরিক কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন বলেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার কোন উপজেলা হাসপাতালে কোন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্বধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জরুরী চিকিৎসা দিতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আলাদা স্পেশাল ‘ডেঙ্গু টিম’ গঠন করা হয়েছে। বাই রোটেশনে ২৪ ঘন্টা এই ‘ডেঙ্গু টিম’ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরো জানান, জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রয়েছে। তাই রোগীদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ডেঙ্গু বা জ্বর হলে কোন অবস্থায় ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম জাতীয় কোন ব্যাথার ওষুধ না খাওয়ানো এবং রাতে ও দিনে সবসময় মশারী ব্যবহার করাই এখন উত্তম বলে তিনি রোগীদের পরামর্শ দেন।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন বলেন, আল্লাহর মেহেরবাণীতে কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগ স্বাস্থ্য বিভাগের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বাড়ি ঘর, অফিস আদালত, সকল জায়গার আশেপাশে ঝোপঝাড় ও জমে থাকা হালকা পানি পরিস্কার রাখলে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে আরো বেশী সচেতন হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

Exit mobile version