কক্সবাজারে পর্যটক আসতে শুরু করেছে: বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশার সঞ্চার

Torist Pictuer 26.1.14.doc

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
রাজনৈতিক মেঘ কেটে যাওয়ায় অবশেষে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে আলোর আভাস মিলছে, সেই সাথে পর্যটন শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মুখে দেখা মিলছে সূর্যের হাসির ঝিলিক।

অক্টোবর মাস থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও গেল বছর পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার ছিল পর্যটক শুন্য। ২০১৩ সাল গোটাই ছিল রাজনৈতিক সংঘাতের বছর। সারা বছরই কেটেছে আন্দোলন সংগ্রাম ও অবরোধ হরতালে। তাই পর্যটকরা আসতে পারেনি কক্সবাজারে। ইতোমধ্যে নতুন বছর শুরু হলেও ৫জানুয়ারি সরকারের নির্বাচন নাটকের কারণে অনিশ্চয়তার মাঝে কেটে যাচ্ছে পুরা মাস। তবে অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটে যাওয়ায় এখন কিছু কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছে কক্সবাজারে। জমজমাট হয়ে উঠছে হোটেল-মোটেল ও সৈকতের ছাতা চেয়ার। এতে করে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে।  
জাতীয় দিবস গুলো ছাড়াও প্রতি বছর এই দিনে কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতে বসে মানব মেলা। লাখ লাখ দেশী বিদেশী পর্যটকে কক্সবাজারের কোথাও তিল ধারণের জায়গা থাকে না। থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে সব ধর্মের লাখ লাখ মানুষ কক্সবাজার সৈকতে এসে ভিড় করতে থাকে। থার্টিফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কিছুটা উশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হলেও অধিকাংশ লোকই কিন্তু এর আগে কয়েকদিন লম্বা ছুটি থাকায় কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। এসময় হোটেল মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে যেমন হয় প্রচুর ব্যবসা-বাণিজ্য। তেমনি মানুষের ঢল সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে খেতে হয় হিমশিম। কিন্তু এবারে দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণে ওই সময় গুলোতে কক্সবাজারে কোন মানুষই ছিল না।

গতকাল কক্সবাজার সৈকতের হোটেল-মোটেল গুলোতে খবর নিয়ে জানাগেছে, দেশে  রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা কিছুটা কেটে যাওয়ায় কিছু কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছে। তবে ইতোমধ্যেই শিক্ষা প্রত্ষ্ঠিান গুলোতে শুরু হয়েছে নতুন বছরের ক্লাশ। এছাড়াও আগামী ফেব্রুয়ারীর শুরুতে আরম্ভ হচ্ছে এসএসসি-দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা। তা ছাড়া পর্যটন মৌসুম থাকে মার্চ পর্যন্ত। গত বছরের মত আগামীতেও আন্দোলন সংগ্রাম হবে না তার কোন নিশ্চয়তা ও নেই। এতে করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন পর্যটনে মন্দাভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না তারা নিশ্চিত নয়।

কয়েকজন হোটেল মালিক জানান, দেশের এই পরিস্থিতির কথা তারা জানলে এত টাকা তারা এখানে বিনিয়োগ করতেন না। ভবিষ্যতে তারা এসব হোটেল মোটেল বিক্রি করে দেশের বাইরে কোথাও বিনিয়োগ করার চিন্তা করছেন। অনেকে বলেছেন কক্সবাজারে নিয়মিত বিমানের ফ্লাইট চালু থাকলে হয়ত অবরোধ হরতালেও পর্যটকরা কক্সবাজার আসতো। আবার অনেকে বলেছেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারকে হরতাল অবরোধের আওতামুক্ত রাখা দরকার। এ বিষয় গুলো সরকার ও বিরোধী দল গুলোকে বিবেচনা করার অনুরোধও করেছেন অনেকে।
কক্সবাজারের পর্যটনকে কেন্দ্র করে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও প্রতিদিন ভ্রমন করতো হাজার হাজার পর্যটক। এসুবাধে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি আধুনিক জাহাজ সার্ভিস। একইভাবে পর্যটন মৌসুমে দীর্ঘ সৈকত এলাকা, সাফারী পার্ক সহ সব জায়গায় থাকে পর্যটকদের বিচরণ। #

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন