কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকার আলোচিত প্রবাসী অলি আহমদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার প্রধান আসামি আব্দুল মজিদ। এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার আরেক আসামি মমতাজ বেগমও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
গত ২৮ জুন অলি আহমদ হত্যা মামলার আসামি আব্দুল মজিদ ও আব্দুল আজিজের পাঁচদিন ও মমতাজ বেগমের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইন। গত ৩ জুলাই ওই তিন আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পেকুয়া থানা হেফাজতে আনেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, ‘অলি আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল মজিদ বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আব্দুল মজিদ বলেছেন, ‘বিরোধীয় জমিতে গাছ কাটার বিষয় নিয়ে ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে অলি আহমদ দা নিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে এলে পেছন থেকে আমার ছোট ভাই আব্দুল গনি তাকে মাথায় কোপ দেন। এরপর আমি তাকে পায়ে কোপ দিই। অলি আহমদ মাটিতে পড়ে গেলে তাকে আবার কোপানো হয়। এসময় আমার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা বেগম দা ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে ছিলেন।’
মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, অলি আহমদ হত্যা মামলার সুনির্দিষ্ট আসামি ছয়জন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২ থেকে ৩ জনকে। এরমধ্যে আব্দুল মজিদ, ফাতেমা বেগম, আব্দুল আজিজ, মমতাজ বেগম কারাগারে আছেন। অপর আসামি আমেনা বেগম জামিনে আছেন এবং আব্দুল গণি পলাতক।
গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিলখালীর জারুলবনিয়া এলাকার সেগুনবাগিচার উত্তর আন্ধারী ফাইকেরঘোনা এলাকায় প্রবাসী অলি আহমদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবস্তর থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠে। ঘটনার দিন পুলিশ ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।