র্যাবের পাঠানো তথ্য মতে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টেকনাফের ইসলামাবাদ নতুন পল্লানপাড়া এলাকা থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবাসহ সাবেকুন্নাহার (২৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, সাবেকুন নাহারের বসত ঘরের খাটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ইয়াবাগুলো। তার স্বীকারোক্তি মতে তল্লাশি করে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, পৃথক অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার সদরের মেরিন সিটি এলাকা থেকে ২ হাজার ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, টেকনাফ থানাধীন ইসলামাবাদ গ্রামের নতুন পল্লানপাড়া (কোনাবাড়ী) এলাকার নজির আহম্মদ এর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ছলিমুল্লাহ এর বসতবাড়ীতে বিপুল পরিমান ইয়াবা রক্ষিত আছে ও সদর থানাধীন মেরিন সিটি কমপ্লেক্স এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রেখে ক্রয়-বিক্রয়ের নিমিত্তে অবস্থান করছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) নবগঠিত র্যাব-১৫ এর অধিনস্থ কক্সবাজার এবং টেকনাফ ক্যাম্প এর পৃথক পৃথক দু’টি আভিযানিক দল টেকনাফ থানার ইসলামাবাদ এর পল্লানপাড়া এবং কক্সবাজার সদর থানার মেরিন সিটি কমপ্লেক্স এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে ছলিমুল্লাহ এর বসতঘর থেকে ২ লাভ পিস ইয়াবাসহ ছলিমুল্লাহ (৩৬) এর স্ত্রী মোছা. সাবিকুন নাহার (২৫) কে গ্রেফতার করে এবং কক্সবাজার সদর থানাধীন মেরিন সিটি কমপ্লেক্স এলাকা থেকে অপর একটি আভিযানিক দল ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ মহেষখালী থানার কালামারছড়া এলাকার মৃত সৈয়দ আলমের ছেলে মো. শাকের মিয়া (২৭), কক্সবাজার সদরের বড়ছড়া দরিয়া নগর এলাকার মো. মোস্তাকের ছেলে মো. হাসন (২০) ও কক্সবাজার সদর থানার লারপাড়া বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত. আবু তালেকের ছেলে মো. আব্দুল জলিল (২৮) কে গ্রেফতার করে।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, তাদের হেফাজতে ইয়াবা রয়েছে এবং তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ব্যবসা এর সাথে জড়িত।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত ৪ জনের থেকে ২ লাখ ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধাকৃত ইয়াবা এর মূল্য প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আটককৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ এবং সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র আরও জানায়, ইয়াবাসহ আটক সাবেকুন নাহারের স্বামী সলিম উল্লাহ ইয়াবার মালিক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। সলিম উল্লাহকে আটক করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।