কক্সবাজারে ভূমিদস্যুচক্রের হাতে জিম্মি অসহায় গৃহবধূর আর্তনাদ

fec-image

কক্সবাজারে ভূমিদস্যুচক্রের হাতে জিম্মি শাহেদা আক্তার (২৭) নামক অসহায় গৃহবধূর আর্তনাদে ভারি আকাশ। চোখেমুখে জল, আতঙ্কের ছাপ। ঘরছাড়া এই নারীর স্বামী আতা উল্লাহ সিদ্দিকী মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী। তিন সন্তান নিয়ে ঘর ছেড়ে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাসায়। পালিয়েও শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি তাড়িত করছে। অপহরণ ও জীবনের ভয়ে সন্তানদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। এরই মধ্যে শ্বশুরসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।

মিথ্যা মামলা, হুমকি ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শাহেদা আক্তার। তিনি মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটার আতা উল্লাহ সিদ্দিকীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিস্তারিত বিষয়টি তুলে ধরেছেন শাহেদা আক্তার।

তিনি বলেন, ছায়েরা খাতুন প্রকাশ ছারা খাতুন থেকে আমার স্বামী জমি কিনেন। যথারীতি রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। ওই জমিতেই দোকানঘর নির্মাণসহ স্বপরিবারে বসবাস করছিলাম। কিন্তু জমির মূল্য বাড়ার সাথে জমিতে কুনজর পড়ে ভূমিদস্যুদের। তারা নানা ফন্দি আাঁটেন। পরিকল্পনা করেন।

তিনি আরো বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় আমার স্বামী গ্রেফতারের পর গত ১১ আগস্ট ওবাইদুল হোসেন, মুনাফ সিকদারের নেতৃত্ব সশস্ত্র হামলা চালিয়ে উচ্ছেদপূর্বক জমি দখলে নেয়। এরপর দখলবাজ, সন্ত্রাসীরা নানাভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে চলেছে। চাচা আবদুল জব্বারকে মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

দুঃখজনক হলো, গত ২৭ অক্টোবর সুগন্ধা পয়েন্টে শুটকি মার্কেটে দোকানঘর নির্মাণ ও উচ্ছেদ ইস্যুতে মুনাফ সিকদার গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নুরুল আমিন, ভাশুর খাইরুল আমিন, ছাদেক উল্লাহ সিদ্দিকী, আবদুল জব্বারকে আসামি করা হয়েছে। আমরা অসহায় পরিবার হিসেবে সহায়তা করায় পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে সাজানো মামলার আসামি বানানো হয়েছে। অথচ জমির বিরোধে তাদের কোন সম্পৃক্ত ছিলনা। দখলবাজরা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে মামলায় জনপ্রিয় এই দুই নেতাকে আসামি করেছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

শাহেদা আক্তারের দাবি, দখলবাজি নিয়ে ভূমিদস্যুরা ঘটনা করে আমাদের চাপিয়ে দিয়েছেন। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামি করেছেন। মামলাটি প্রত্যাহার ও সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্তি চাই।

এসময় শাহেদা আক্তারের স্কুল পড়ুয়া ছেলে নুর সাহিল সিদ্দিকী, রাফসান সিদ্দিকী ও সাইরা সিদ্দিকীসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন